শাহজালাল বিমানবন্দরে এপিবিএন-এর পাস সংকট: নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে
আপডেটঃ ২:৪০ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বে থাকা প্রায় ৯ শতাধিক আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এখনও নতুন নিরাপত্তা পাস পাননি। বর্তমানে থাকা পাসের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। এদিকে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এখনো নতুন পাস ইস্যু না করায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে এপিবিএন ও বেবিচকের অধীন এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর এপিবিএন সদস্যদের এয়ারসাইডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এপিবিএন সদস্যদের এয়ারসাইডে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
১৮ নভেম্বর বেবিচক একটি সার্কুলার জারি করে জানায়, আগের নিরাপত্তা পাসগুলো ৩০ নভেম্বর থেকে স্থগিত করা হবে। নতুন এভসেক আইডি সংবলিত পাস ছাড়া কেউ এয়ারসাইডে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এপিবিএন সদস্যদের পাস ইস্যু এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১১ নভেম্বর বেবিচকের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ বৈঠক হয়, যেখানে এপিবিএন সদস্যদের এয়ারসাইডে মোতায়েনের পরিকল্পনা পেশ করা হয়। মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। এদিকে, পাস ইস্যু না হলে ৩১ ডিসেম্বরের পর এপিবিএন সদস্যদের বিমানবন্দরে প্রবেশে সংকট তৈরি হতে পারে।
এপিবিএন থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিমানবন্দরে অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি অপরিহার্য। পাস ইস্যুতে বিলম্ব হলে সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এবং অপরাধ প্রবণতা বাড়তে পারে। অন্য সংস্থাগুলোর পাস ইস্যু হলেও এপিবিএন সদস্যদের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বেবিচক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া জানিয়েছেন, এপিবিএন সদস্যদের নিরাপত্তা পাস ইস্যুর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান না হলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে জটিলতা বাড়তে পারে।
IPCS News : Dhaka :
