মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভয়ে বিক্রি করলেন শিল্পী

আপডেটঃ ১২:০০ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ২৩, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে মুক্তিযুদ্ধের আদলে তৈরি একটি ভাস্কর্য নিয়ে বিপাকে পড়েন এক শিল্পী।শখের বশে এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভালোবাসা থেকে এটি নির্মাণ করেছিলেন তিনি।তবে গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর জনরোষ ও অপমানের ভয়ে ভাস্কর্যটি গোপনে বিক্রি করে দেন নগরের বিনোদপুর এলাকার এক ভাঙারির দোকানে।ভাঙারির দোকানে গিয়ে দেখা যায়,স্টিলের পাত দিয়ে তৈরি দুই মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতির ভাস্কর্যটি একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে দাঁড় করানো।এক মুক্তিযোদ্ধা এক হাতে পায়রা উড়িয়ে দিচ্ছেন এবং অন্য হাতে বন্দুক ধরে আছেন।পেছনের জন উঁচু রাইফেল নিয়ে গৌরবের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে।

কেন বিক্রি করলেন শিল্পী?
ভাস্কর্যের নির্মাতা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এটি নির্মাণ করতে তাঁর ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।শখের বসে এটি তৈরি করেন এবং পরিকল্পনা ছিল পছন্দের কারও কাছে বিক্রি করবেন।কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনে জনরোষের আশঙ্কায় ভাস্কর্যটি ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন।তিনি আরও বলেন, ভাস্কর্যটি স্টুডিওর বাইরে রাখা ছিল।উচ্চতার কারণে ঘরের ভেতরে ঢোকানো সম্ভব হয়নি।পরে ভাঙারিওয়ালাকে ডেকে নামমাত্র মূল্যে এটি বিক্রি করে দেন।

ভাঙারিওয়ালার বক্তব্য
বিনোদপুর বাজারের ভাঙারির দোকানদার মিলন আলী জানান, বুধপাড়া এলাকার একজন শিক্ষক তাঁর কাছে ভাস্কর্যটি বিক্রি করেন। তিনি এটি ভাঙারির মাল হিসেবে কিনলেও এখনো তা নষ্ট করেননি।

শিল্পীর প্রস্তাব
শিল্পী জানান, কেউ যদি ভাস্কর্যটি সংরক্ষণ করতে চান বা কোথাও স্থাপন করতে আগ্রহী হন, তাহলে তিনি নিজ খরচে গিয়ে সেটি স্থাপন করে দেবেন। ভাস্কর্যটি পুনরায় শিল্পকর্ম হিসেবে সংরক্ষিত হলে তিনি আনন্দিত হবেন।

মুক্তিযুদ্ধের আদলে গড়া এমন একটি শিল্পকর্মের এই পরিণতি সামাজিকভাবে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। তারা ভাস্কর্যটি সংরক্ষণ ও যথাযথভাবে প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।

IPCS News :আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী