বাবরি মসজিদ নির্মাণ ঘিরে লাখো মানুষের জমায়েত ভারতের পশ্চিমবঙ্গে
আপডেটঃ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ | ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫
নিউজ ডেস্কঃ
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ক্ষত স্মৃতিতে এখনও দগ্ধ ভারত। সেই দিনের আবেগময় প্রতিধ্বনি তিন দশক পর আবারও ফিরে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। একই দিনে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের উদ্যোগ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঘোষণার পর থেকেই এই কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা ভরতপুরের বিধায়ক ও তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা হুমায়ুন কবীরকে কেন্দ্র করে আলোচনা চলছে তুঙ্গে।
রেজিনগরে দিনভর মানুষের ঢল নেমেছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকে ঘিরে। হুমায়ুন কবীর দাবি করেছেন, শনিবারের অনুষ্ঠানে প্রায় তিন লাখ মানুষ উপস্থিত হবেন এবং তাদের জন্য খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষের জন্য। স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ধর্মীয় নেতারাও যোগ দিতে শুরু করেছেন, যা আয়োজকদের প্রত্যাশাকে আরও বড় করেছে। তার দাবি, সৌদি আরব থেকেও একাধিক ধর্মগুরু অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন এবং এত বড় আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি পুলিশের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, তিন কাঠা জায়গা নিয়ে বিরোধিতা থাকলেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঠিকই হচ্ছে। পুরো ২৫ বিঘা জায়গার ওপর মসজিদের পাশাপাশি হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, পার্কসহ বড় আকারের সামাজিক অবকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও তিনি ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও দুই মেদিনীপুরের জনগণের সহযোগিতায় করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও দৃঢ়ভাবে বলেন, মসজিদের জন্য কোনোভাবেই রাজ্য সরকারের অর্থ গ্রহণ করবেন না। তার দাবি, এতে ধর্মীয় স্থাপনার পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ হবে এবং এটি তিনি মেনে নিতে পারবেন না। স্বেচ্ছাশ্রম এবং জনগণের অনুদানেই সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে এবং পরদিন সন্ধ্যায় রেজিনগর থানায় কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবুও অনুশোচনা বা সংকোচ ছাড়াই তিনি ঘোষণা দেন—সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই পুরোদমে চলছে এবং নির্ধারিত সময়েই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন হবে।
IPCS News : Dhaka :

