শনিবার ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

দিনাজপুরে শীতের অভিষেক প্রকৃতি পরছে ‘কুয়াশার চাদর’ কম্বল-সোয়েটার বের করার ধুম

আপডেটঃ ২:৫৩ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ০৮, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

দিনাজপুর:– হিমালয়ের পাদদেশ, উত্তর জনপদের অগ্রদূত দিনাজপুরে যেন শীতকাল তার ‘রাজ অভিষেক’ সেরে ফেলল সবার আগে।এখনও পুরোপুরি শীত না নামলেও, আবহাওয়া এখন থেকেই ‘হালকা ঠান্ডার আমেজ’ ছড়িয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে, এই বছরও শীতের প্রথম ছোঁয়াটা এই জেলাতেই পড়বে।রাত নামলেই হিমেল হাওয়ার স্পর্শ, ভোরে ঘাসের ডগায় মুক্তোর মতো ঝুলে থাকা শিশিরবিন্দু, আর সকালে শহর জুড়ে হালকা কুয়াশার চাদর সব মিলিয়ে প্রকৃতি এখন এক নতুন রূপে সেজে উঠেছে।

দিনের বেলায় সূর্যের উষ্ণতা থাকলেও, সন্ধ্যার পর থেকেই বাতাসে ঠান্ডা আমেজ স্পষ্ট।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমছে, যা বর্তমানে ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

তবে দিনাজপুরের মানুষ আর অপেক্ষা করেননি, ঘরে তুলে রাখা উলের চাদর, সোয়েটার আর কম্বল ইতিমধ্যেই বের করতে শুরু করেছেন।ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ এখন শহরের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী।শীতের আগমন শুধু সাধারণ মানুষকে উষ্ণতা দিচ্ছে না, কৃষকদের জীবনেও নিয়ে এসেছে এক বিশেষ অনুভূতি।বোচাগঞ্জ উপজেলার কৃষক শাহীন আলম বলেন, ভোরে মাঠে নামলে পায়ের নিচে ঘাস ভিজে যায় শিশিরে।

কাজের কষ্ট থাকে, কিন্তু এই সময়টা ভালো লাগে শীতের শুরু মানেই ধানের ঘ্রাণ।পথচারী আজীম উদ্দীন একই কথা বললেন, এখনও ঠিকভাবে শীত নামেনি, তবে ভোরের সময় বেশ ঠান্ডা লাগছে এবং কুয়াশাও পড়তে শুরু করেছে।একটা দারুণ আরামদায়ক অনুভূতি।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন নিশ্চিত করেছেন যে তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে।সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে।তবে এই অঞ্চলে শীতের প্রভাব ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে বেশি থাকে।অর্থাৎ, এখন চলছে শুধু শীতের মিষ্টি ‘মহড়া’, মূল শীত আসতে এখনো কিছুটা সময় বাকি।তবে দিনাজপুর এই হালকা শীতের উষ্ণতা দারুণভাবে উপভোগ করছে।

IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম, দিনাজপুর।