ওবামার মতো উত্থান, তবে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না মামদানি
আপডেটঃ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ | নভেম্বর ০৬, ২০২৫
নিউজ ডেস্কঃ
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানি রচনা করেছেন এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। শহরের ইতিহাসে ৬০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ৯১ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, মামদানি পেয়েছেন ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৫১ ভোট—যা মোট ভোটের ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো পেয়েছেন ৮ লাখ ৫০ হাজার (৪১ দশমিক ৬ শতাংশ) ভোট, আর রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস সিলওয়া পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৭ ভোট (৭ দশমিক ১ শতাংশ)।
এই ফলাফলে মামদানি প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলেছেন। ১৯৬৫ সালের পর কোনো প্রার্থী এত বেশি ভোট পাননি। সেই বছর রিপাবলিকান জন লিন্ডসে পেয়েছিলেন ১১ লাখ ৪৯ হাজার ভোট। এর আগে ১৯৫৭ ও ১৯৬১ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট রবার্ট এফ. ওয়াগনার জুনিয়র যথাক্রমে ১৫ লাখ ও ১২ লাখ ভোট পেয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন।মামদানির এই উত্থান অনেকের কাছে বারাক ওবামার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঐতিহাসিক যাত্রার সঙ্গে তুলনীয় হয়ে উঠেছে। তবে এখানেই রয়েছে বড় পার্থক্য—জোহরান মামদানি কখনোই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে হলে জন্মসূত্রে (natural-born citizen) মার্কিন নাগরিক হতে হয়। কিন্তু মামদানি জন্মসূত্রে নাগরিক নন। তিনি ১৯৯১ সালে উগান্ডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মা-বাবার ঘরে জন্ম নেন, যারা তখন মার্কিন নাগরিক ছিলেন না। সাত বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০১৮ সালে নাগরিকত্ব লাভ করেন।
তাই সংবিধানের এই বাধ্যবাধকতার কারণে তিনি হোয়াইট হাউজের পথে হাঁটতে পারবেন না। তবে অভিবাসী পরিবারের সন্তান হয়েও নিউইয়র্কের মতো বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শহরের মেয়র পদে পৌঁছে জোহরান মামদানি প্রমাণ করেছেন, আমেরিকান রাজনীতিতে বৈচিত্র্য ও নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের যুগ শুরু হয়েছে।
IPCS News : Dhaka :

