এক এনআইডিতে ১০টির বেশি সিম থাকলে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাতিলের নির্দেশ বিটিআরসির
আপডেটঃ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ২৭, ২০২৫
নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একজন ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি মোবাইল সিম সক্রিয় থাকলে তা আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে ডি-রেজিস্টার বা মালিকানা পরিবর্তন করতে হবে।নির্ধারিত সময়ের পর বিটিআরসি নিজ উদ্যোগে দৈবচয়নের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, একজন গ্রাহক তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০টি সিম রাখতে পারবেন।এর বেশি সিম রাখলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা বাতিল করা বাধ্যতামূলক।এ জন্য গ্রাহকরা তাদের মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে বা অনুমোদিত অফিসে যোগাযোগ করে সিম ডি-রেজিস্টার করতে পারবেন।যেসব গ্রাহক সময়সীমার মধ্যে পদক্ষেপ নেবেন না, তাদের অতিরিক্ত সিমগুলো বিটিআরসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেবে।ফলে গ্রাহক অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নম্বর হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। কমিশন জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া সিম ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবৈধ সিম ব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ রোধ করবে।গ্রাহকরা তাদের এনআইডির বিপরীতে মোট কতটি সিম নিবন্ধিত আছে তা জানতে পারবেন মোবাইল ফোনে *16001# ডায়াল করে এবং এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা পাঠিয়ে। এতে তারা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবেন, তাদের নামে কোন অপারেটরের কতটি সিম নিবন্ধিত রয়েছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, সিম নিবন্ধনের অপব্যবহার রোধ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্যক্তির অজান্তে তার এনআইডি ব্যবহার করে অতিরিক্ত সিম নিবন্ধন করা হয়, যা প্রতারণা, সাইবার অপরাধ বা আর্থিক জালিয়াতির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। তাই সময়মতো যাচাই ও ডি-রেজিস্টার করার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
কমিশন আরও বলেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজস্ব ব্যবহারের বাইরে থাকা অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্টার করলে গ্রাহক নিজের তথ্য ও নম্বর নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবেন। অন্যদিকে, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এলোমেলোভাবে বাতিল হওয়া সিমের কারণে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ বা সেবা ব্যবহারে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বিটিআরসি মনে করে, এ উদ্যোগের ফলে মোবাইল গ্রাহক তথ্যভাণ্ডার আরও হালনাগাদ হবে এবং সিমের মালিকানা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি ও জালিয়াতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
IPCS News : Dhaka :

