আজ শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের ১৫৩তম জন্মদিন
আপডেটঃ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ২৬, ২০২৫
নিউজ ডেস্কঃ
আজ, ২৬ অক্টোবর, অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার ইতিহাসের অন্যতম জননেতা শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের ১৫৩তম জন্মদিন। ১৮৭৩ সালের এই দিনে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া এই প্রখর মেধাবী রাজনীতিক ছিলেন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের অগ্রপথিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু।
রাজনৈতিক জীবন জুড়ে শেরে বাংলা ছিলেন জনকল্যাণ ও কৃষকস্বার্থ রক্ষার প্রতীক। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময় তিনি প্রণয়ন করেন কৃষকের ঋণের বোঝা লাঘবে ঐতিহাসিক ঋণ সালিশি আইন, যা তৎকালীন বাংলার দরিদ্র কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। কৃষির আধুনিকায়ন ও শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দি বেঙ্গল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট, যা পরবর্তীতে তার নামানুসারে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৩৫ সালে কলকাতার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরে ১৯৫৩ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীকে সঙ্গে নিয়ে গঠন করেন ঐতিহাসিক যুক্তফ্রন্ট, যা পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে রাজনৈতিক রূপ দেয়।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হন এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫) ও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জনগণের কল্যাণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাকিস্তান সরকার ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর তাকে প্রদান করে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘হিলাল-ই-পাকিস্তান’ খেতাব।
১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসংলগ্ন এলাকায় তাঁকে সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনকে সমাহিত করা হয়। এখন সেই স্থানটি বাঙালি জাতির শ্রদ্ধার কেন্দ্র ‘তিন নেতার মাজার’ নামে পরিচিত।
রাজনীতিতে সততা, ন্যায়বোধ ও মানবতার প্রতীক শেরে বাংলা আজও বাংলার ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এক নাম। তাঁর জন্মদিনে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে এক মহান জননেতাকে, যিনি সারাজীবন লড়েছেন কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য।
IPCS News : Dhaka :

