বৃহস্পতিবার ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রেলের ইণ্জিন ক্রয় প্রক্রিয়ায় দূর্নীতির গন্ধ

আপডেটঃ ২:৫৫ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৬, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন ৩০টি ইঞ্জিন কেনা নিয়ে আবারও বিতর্ক দেখা দিয়েছে।নতুন ৩০ ইঞ্জিন ক্রয়ের প্রক্রিয়ার শুরুতেই পেইড এজেন্টদের সাফাই শুরু হয়ে গেছে।একটি কোম্পানি যাতকরে ট্ন্ডারটি পেত পারে সে হিসেবে ট্ন্ডারের শর্ত জুড়েদিতে মরিয়া একটি রেল সিন্তিকেট চক্র।সাথে টেন্ডার উন্মুক্ত করতে হবে যাতে বিশ্বের সব দেশ অংশ নিতে পারে এমন দাবিতে সোচ্চারও অনেকেই।অভিযোগ উঠেছে,একটি চক্র মুনাফা লোভে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেমইকে ইণ্জিন ক্রয়ের কাজ পাইয়ে দিতে মরিয়া।অথচ কোম্পানিটির বিরুদ্ধে পূর্বে নিম্ন মানের ইণ্জিন ক্রয়ের শক্ত অভিযোগ রয়েছে।টেন্ডারের শর্ত এমনভাবে নির্ধারণ করা যাবে না যাতে কেবল কোরিয়ার হুন্দাই রোটেমই অংশ নিতে পারে।এভাবে সীমিত করলে হুন্দাই আগের মতোই নিম্নমানের, ভাঙ্গারি যন্ত্রাংশ দিয়ে ইঞ্জিন পাঠাবে।এতে করে রেলের ভবিষ্যত অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।

রেলওয়ের সাবেক সচিব মাহবুব কবির মিলন বলেন, “ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে যদি হুন্দাই উন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে, তাহলে তাতে আপত্তি নেই।কিন্তু শর্তযুক্ত টেন্ডার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রযুক্তি বদলায়, সময় বদলায়—রেলওয়ের জনবল নতুন প্রযুক্তি শিখে নিতে পারে।এটা কোনো রকেট সাইন্স নয়।

মেইনটেনেন্সের অজুহাতে ৩২ কোটি টাকার ইঞ্জিন ৮০ কোটি টাকায় কেনার বন্দোবস্ত করা মানে লুটপাটের পথ তৈরি করা।এই সচিবের অভিযোগ, আগের ক্রয়কৃত ৩০টি ইঞ্জিন নিম্নমানের হওয়ায় এখন সেগুলোর বেশিরভাগই অচল হয়ে পড়েছে।রাস্তায় নষ্ট হয়ে বসে যায়, জোড়াতালি দিয়ে চালানো হয়—ফলে পুরো রেল ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বলেও জনান তিনি।

রেলওয়ের ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক হোক  এটাই প্রত্যাশা সবার।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ।