আসন্ন নির্বাচনে জনগণের মাঝেই থাকব: তারেক রহমান
আপডেটঃ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ০৬, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে তিনি দলের আগামী নির্বাচনী কৌশল, আওয়ামী লীগের রাজনীতি, অতীত সরকারের সময়ে তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, দেশে ফেরার প্রশ্ন এবং সমসাময়িক নানা বিষয়ে খোলামেলা বক্তব্য দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোল।
তারেক রহমান বলেন, যদিও তিনি গত ১৭ বছর ধরে প্রবাসে আছেন, তবুও দেশের সঙ্গে তার যোগাযোগ ও রাজনৈতিক কার্যক্রম সবসময় চলমান ছিল। “আমি শারীরিকভাবে হয়তো এখানে আছি, কিন্তু মন-মানসিকতা সবসময়ই বাংলাদেশে ছিল। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকেছি,” বলেন তিনি।তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আদালতের নির্দেশে গণমাধ্যমে তার বক্তব্য প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তার ভাষায়, “আমি কথা বলেছি, কিন্তু আপনারা তখন ছাপাতে পারেননি। ইচ্ছা থাকলেও গণমাধ্যম প্রকাশ করতে পারেনি। এমনকি প্রেস ক্লাবেও আমাকে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।” তবে তিনি জানান, সামাজিক মাধ্যমসহ নানা উপায়ে তিনি সবসময় মানুষের কাছে পৌঁছেছেন।
দেশে ফেরার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, কিছু কারণে এতদিন দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি, তবে সময় এখন এসে গেছে। তিনি ইঙ্গিত দেন যে দ্রুতই দেশে ফিরবেন। নির্বাচনের আগেই দেশে আসার সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি রাজনীতি করি। নির্বাচন থেকে দূরে থাকার প্রশ্নই আসে না। জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হলে আমি জনগণের মাঝেই থাকব, ইনশাআল্লাহ।”
নিরাপত্তা শঙ্কা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্বীকার করেন, “বিভিন্ন রকম শঙ্কার কথা আমরা অনেক সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনেছি। সরকারের ভেতরের মানুষদের কাছ থেকেও এসেছে। তবে এসব ভয় আমাকে থামিয়ে রাখতে পারবে না।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সাক্ষাৎকার শুধু তারেক রহমানের দীর্ঘ নীরবতার অবসান নয়, বরং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান ও কৌশল নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। তার দেশে ফেরার ইঙ্গিত বিএনপির কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও গতিশীল করে তুলেছে।
IPCS News : Dhaka :