ইঞ্জিন ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে রেলের সাবেক ডিজিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আপডেটঃ ১২:২৭ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকোমোটিভ ইঞ্জিন ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম, প্রতারণা ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামানসহ তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।১৮ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ থেকে মামলাটি (নম্বর: ৩৩/২০২৫) দায়ের করা হয়।মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ সালের ৫(২) ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে, শামসুজ্জামান (সাবেক ডিজি বাংলাদেশ রেলওয়ে), মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী( সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক -রোলিং স্টক) এবং মোহাম্মদ হাসান মনসুর(সাবেক এডিজি -ডেভেলপমেন্ট)।এছাড়াও তদন্তে সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দুদক জানিয়েছে।দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ইঞ্জিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে টেন্ডার স্পেসিফিকেশন ও ক্রয় চুক্তি লঙ্ঘন করে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়।চুক্তি অনুযায়ী পিএসআই (Pre-Shipment Inspection) সার্টিফিকেট দাখিল না করেই ইঞ্জিনগুলো জাহাজীকরণ ও গ্রহণ করা হয়।
চুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা ছিল, প্রতিটি ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ ক্যাপিটাল কম্পোনেন্টস যেমন ইঞ্জিন, অল্টারনেটর, ট্র্যাকশন মোটর, কম্প্রেসর, টার্বোচার্জার ইত্যাদি নির্ধারিত মান অনুযায়ী সরবরাহ করতে হবে এবং বিদেশি পরীক্ষণ সংস্থার উপস্থিতিতে পিএসআই সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু আসামিরা এসব শর্ত অমান্য করেন।ফলে প্রকল্প পরিচালক বা তদারককারী প্রতিষ্ঠানের মতামত ছাড়াই নিম্নমানের লোকোমোটিভ গ্রহণ করা হয়।এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আসামিরা সরাসরি ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকারও বেশি আত্মসাত করেছেন।
একই সঙ্গে নিম্নমানের লোকোমোটিভ ইঞ্জিন আমদানির কারণে সরকারের প্রায় ৩২২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।এ অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালে।দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ মামলার এজাহার দায়ের করেন।
IPCS News : Dhaka :