কবর থেকে লাশ তোলা ও পুড়ানো বিষয়ে চার মাযহাবের হাদিস
আপডেটঃ ২:৪২ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
২৩ শে আগষ্ট নুরা পাগলা মারা যায়।৫ই সেপ্টেম্বার তার লাশ কবর থেকে তুলে লাশকে প্রহার শেষে আগুনে পোড়ান ধর্মীয় লেবাশ পরা কিছু সাধুবেশি শয়তানের অনুসারিরা।প্রতক্ষ্য দর্শিরা জানান,কবর থেকে নুরার লাশ তোলসর সময়,তার কাফনের কাপড়ে কোন দাগ বা দূর্গন্ধ ছিলনা।দাড়ি ও চেহারা অক্ষত ছিল।কেউ মারা গেলে তিন দিনের বেশী হলে গন্ধ ছড়ায়, লাশ ফুলে যায় ও পচন ধরে, শরিরে পোকাধরে।কিন্তু নুরার লাশের এমনটা হয়নি।হযরত মনসুর হাল্লাজ রহঃ আল্লাহর প্রেমে এতই মজ্জুব ছিল যে তিনি নিজেকে আয়নাল হক বলা শুরু করলেন।কিন্তু সে যুগের মাওলানারা তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিলেন।তাই নুরা পাগলার কবরে হামলা তার লাশ জ্বালিয়ে দেয়ায় ধর্মপ্রান কোন মানুষ আশ্চার্য্য হয়নি।কারন নাস্তিক, ইহুদীবএই গোষ্ঠিটি বহু কাল আগে থেকেই আল্লার ওলি আওলাদের সাথে, (জিবিত ও মৃত)এই জাতীয় অপকর্ম করে আসছে।
ধর্মীয় লেবাশ পরে শিরিক বিদাতের ফতোয়া দিয়ে তারা ইসলামের সুফী ধারা থেকে মুসলমান দের কে দূরে রাখতে চায়।এই উপমহাদেশে যুগে যুগে ইসলাম এসছে, ইসলামের প্রচার করেছে, ইসলাম প্রসার করেছ,ইসলাম এসছে সূফী-আওলাদের মাধ্যমে।এদের শরিয়ত বিরোধী কর্মকান্ডে মর্মাহত বিশ্বের সকল ধর্মপ্রান মুসলমান।
মহান রবের কাছে প্রার্থনা, হে খোদা চালাও মোদের সঠিক সোজা পথে।★★কবর থেকে লাশ তোলা ও পুড়ানো বিষয়ে চার মাযহাব (হানাফি, মালিকি, শাফি, হাম্বলি) এ বিষয়ে কী বলে:-★ চার মাযহাবের অবস্থান★
১. হানাফি মাযহাব:- কবর খোঁড়া হারাম।শুধু বিশেষ কারণে অনুমতি মৃতকে ভুল করে অমুসলিম কবরস্থানে দাফন করলে।কিবলার দিকে না শুইয়ে দাফন করা হলে।গোসল বা কাফন ছাড়া দাফন হয়ে গেলে।অন্য সব অবস্থায় লাশ উত্তোলন নাজায়েজ।লাশ পোড়ানো–হানাফি ফিকহ অনুযায়ী হারাম ও কুফরির কাছাকাছি কাজ।রেফারেন্স:-আল-ফাতাওয়া আল-হিন্দিয়্যা (৫/৩৫০),আল-বাহরুর রায়েক (২/২০৬)।
২. মালিকি মাযহাব:- মৃতদেহ অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ, একবার কবর দিলে পুনরায় তোলা যায় না।যদি মৃতের হক নষ্ট হয় (যেমন কিবলা ছাড়া দাফন, কফন ছাড়া দাফন), তবে উত্তোলন করা যাবে।অযথা কবর খোঁড়া মালিকিদের দৃষ্টিতে গুরুতর গুনাহ।লাশ পোড়ানো সম্পূর্ণরূপে হারাম।রেফারেন্স:- আশ-শারহুল কবীর (২/১৩৮),হাশিয়াত আদ-দাসুকী (১/৪২৫)।
৩. শাফি মাযহাব:- কবর একবার সম্পন্ন হলে শরয়ী কারণ ছাড়া খোঁড়া যাবে না।বৈধ কারণ:-ভুল কবরস্থানে দাফন হয়েছে।কফন বা জমি গাসিব (চুরি/অধিকারবিহীন)।শাফি ফকিহরা বলেন: “মৃতের প্রতি সম্মান জীবিতের মতোই।লাশ পোড়ানো শাফি মাযহাবে হারাম; আগুনে শাস্তি দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহর।রেফারেন্স:- আল-মাজমু’ (৫/২৯৮),নিহায়াতুল মুহতাজ (৩/১৭)।
৪. হাম্বলি মাযহাব:- কবর খোঁড়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।ব্যতিক্রম ভুলে অমুসলিম কবরস্থানে দাফন।শরীয়তের বিধি অনুযায়ী দাফন হয়নি।লাশ পোড়ানো হাম্বলিদের মতে শরীয়তের সরাসরি বিরোধী এবং বড় গুনাহ।রেফারেন্স:- আল-মুগনি, ইবন কুদামাহ (২/৩৭২)।
★★লাশ পোড়ানো প্রসঙ্গে:- চার মাযহাবেই একমত:মৃতদেহ পোড়ানো হারাম।এটি জাহেলিয়াতি কাজ, ইসলামে অনুমোদিত নয়।হাদিসে এসেছে: “আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া আল্লাহ ছাড়া কারো কাজ নয়।(বুখারি ৩০১৬, মুসলিম ১৬৭০)।
সারসংক্ষেপ:- চার মাযহাবেই কবর খুঁড়ে লাশ তোলা হারাম, শুধু বিশেষ কিছু বৈধ কারণ ছাড়া।লাশ পোড়ানো সব মাযহাবে হারাম এবং গুরুতর গোনাহ।“নারায়ে তাকবির” বলে এটা করলে ধর্মের অপব্যবহার হবে, যা বিদআত ও গুনাহে কাবিরাহ।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।