নেত্রকোনায় দরিদ্র সোহাগ মিয়ার পায়ে অপারেশন প্রয়োজন পাঁচ লাখ টাকা
আপডেটঃ ২:১৫ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনা:- নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের তরুণ সোহাগ মিয়া (২৮) এখন জীবনের কঠিনতম সময় পার করছেন।দীর্ঘদিন ধরে তিনি মারাত্মক পায়ের অসুখে ভুগছেন।চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত অপারেশন করানো জরুরি হলেও অর্থাভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।অপারেশনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৫ লাখ টাকা,যা দরিদ্র এই পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা একেবারেই অসম্ভব।পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে সোহাগ মিয়া ২০২১ সালে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় যান।সেখানে একটি কেমিক্যাল কোম্পানিতে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় কেমিক্যাল তার পায়ে পড়লে গুরুতর ক্ষত সৃষ্টি হয়।মাঝেমধ্যে কিছুটা সুস্থ হলেও ক্ষত আবার বেড়ে যায়।বর্তমানে প্রায় চার মাস ধরে তার পা পচে গেছে, যা দ্রুত চিকিৎসা না করলে আরোও বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
সোহাগ মিয়ার পরিবারে স্ত্রী চায়না আক্তার, দুই সন্তান তাহিমা আক্তার (৭) ও মিম আক্তার (৩)।বাবা আলী নেওয়াজ অনেক আগেই মারা গেছেন।বৃদ্ধ মা মোছাঃ শমলা গ্রামের বাজারে একটি ছোট চায়ের দোকান চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছেন।অসহায় এই অবস্থায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সোহাগ মিয়া বলেন,আমি বাঁচতে চাই।
আজ আমি আমার স্ত্রী-সন্তানের মুখের দিকে তাকাতেও পারি না, কারণ তাদের সামান্য চাহিদাটুকুও পূরণ করতে পারছি না।আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ আমাকে সহযোগিতা করুন।আপনাদের সাহায্য পেলে আমি আবারও নতুন জীবন ফিরে পাবো।01306-379572 এটাই আমার ব্যাক্তিগত নাম্বার পারসোনাল বিকাশ/নগদমা মোছাঃ শমলা বলেন,আমার ছেলে পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিল।
এখন ভাগ্যের নির্মম খেলায় সে অসহায় হয়ে পড়েছে।চায়ের দোকান চালিয়ে সংসারই ঠিকমতো চলছে না, ছেলের চিকিৎসা করানো তো দূরের কথা।তাই সবার কাছে আমার আকুল আবেদন—আমাদের এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়ান।স্ত্রী চায়না আক্তার জানান, আমার স্বামীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।ছোট ছোট সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি দিশেহারা।
যদি সমাজের সহৃদয় মানুষরা এগিয়ে না আসেন, তবে শুধু আমার স্বামী নয়, আমাদের পুরো পরিবারই অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।এলাকাবাসীরাও জানান, সোহাগ একজন ভালো ও ভদ্র মানুষ।জীবিকার তাগিদে ঢাকায় গিয়েছিলেন কাজ করতে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই পথই তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারা স্থানীয়ভাবে যতটা সম্ভব সহায়তা করছেন,তবে সমাজের সচ্ছল ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা ছাড়া সোহাগকে বাঁচানো সম্ভব নয়।মাত্র পাঁচ লাখ টাকাই হয়তো ফিরিয়ে দিতে পারে আমাদের সোহাগের জীবন।অসহায় এই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক দায়িত্ব পালনের জন্য সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি আমাদের এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোনা।