বৃহস্পতিবার ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

দিনাজপুরে ঠিকাদার শেখ শাহ আলম-পলাতক অবস্থাতেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

আপডেটঃ ২:৫৫ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৩, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

দিনাজপুর:-দিনাজপুরে ঠিকাদারি খাতে আলোচিত নাম হিসেবে উঠে এসেছে শেখ শাহ আলম।স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২৪ শে জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় তিনি দেশীয় অস্ত্র হাতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।৫ আগস্ট স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালানোর পর শাহ আলম আত্মগোপনে চলে যান।তবে বিভিন্ন সূত্রের দাবি, তিনি এখনও পর্দার আড়াল থেকে ঠিকাদারি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।অভিযোগ রয়েছে, দিনাজপুরসহ ঢাকার খামারবাড়ি ও বরিশালে তার প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজ সরকারি প্রকল্পে কাজ করছে এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ব্যাংক লেনদেন ও চুক্তি স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।স্থানীয় ছাত্র-জনতার মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

সূত্র গুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৭ বছর আগে তিনি পান দোকান চালাতেন।আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেখ পদবি যুক্ত করে স্থানীয় রাজনীতির ঘনিষ্ঠ মহলে স্থানীয় এমপি ও হুইপ ইকবালুর রহিমের আস্থা ভাজন হয়ে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন এবং মা এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ, দিনাজপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এলজিইডি ও পৌরসভায় তার প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কারো টেন্ডার কার্যত গ্রহণ করা হতো না।এভাবে প্রায় ১৬ বছরে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।আন্দোলন দমনে হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আরও আলোচনার জন্ম দেয় একটি ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, ২০ আগস্ট তিনি দিনাজপুর জিলা স্কুলের ৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার একটি সরকারি প্রকল্পের চুক্তিতে সশরীরে উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর করেছেন।এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি তার পূর্বসূরি জানাতে পারবেন, তাই তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

এ ঘটনার পর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ ওয়ালিউর রহমান।নোটিশে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, একজন পলাতক আসামি কীভাবে সরকারি দপ্তরে উপস্থিত হয়ে চুক্তি ও বিল স্বাক্ষর করতে পারেন।এছাড়া, স্থানীয় সূত্র দাবি করছে যে তিনি মর্ডান মোড়, বালুবাড়ি এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, যানবাহন এবং ইটভাটা ক্রয় করেছেন।

ব্যবসা ও ঠিকাদারি কার্যক্রম চালু রাখতে বিভিন্ন সরকারি অফিসের বৃহত্তর দুই দলের কতিপয় নেতা, প্রকল্প পরিচালক ও প্রকৌশলীদের সহায়তায় চলছে ঠিকাদারি এবং নেতাদের সহযোগিতা পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সরকারি মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দিনাজপুরের বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, চলমান অভিযোগগুলো তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণ হলে শেখ শাহ আলমকে আইনের আওতায় আনা এবং অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা উচিত।

IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর‎।