রাজশাহীর নির্বাচনী আসন গুলোতে অর্ধশতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড় ঝাঁপ
আপডেটঃ ২:০২ অপরাহ্ণ | জুলাই ১২, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজশাহীর ৬টি আসনেই তোড়-জোড় শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের এখন প্রকাশ্যে মাঠে নেমে প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।কোনো কোনো প্রার্থীর পক্ষে ব্যানার এবং ফেস্টুনও টানানো হয়েছে এলাকায়।এতে করে রাজশাহীর ৬টি আসনেই কিছুটা হলেও নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে।রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী): দলীয় সূত্র মতে, এই আসনে বিএনপি-জামায়াতের সম্ভাব্য মোট ৭ জন প্রার্থীর নাম এখন পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে।
তাঁদের মধ্যে প্রবীণ দুই নেতাও রয়েছেন।তারা হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন ও জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমানের নামই আসছে আগে।শরিফ উদ্দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই।
আমিনুল হকের স্ত্রী আভা হক, সুপ্রিমকোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, বিএনপি নেতা সুলতানুল ইসলাম তারেক, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিষদের সহকারী মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সাজেদুর রহমান মার্কনী’র।
রাজশাহী-২ (সদর): এ আসনে এখন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ও জাতীয় পার্টির মোট ৫জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।এইনআসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবেই নানা কর্মসূচি পালন করছেন সাবেক এমপি ও দলটির চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
এ আসনে তাঁকেই সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মনে করছেন এখানকার সাধারণ মানুষও।ফলে রাজশাহী বাকি ৫টি আসনে বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকলেও রাজশাহী সদর আসনে ঘুরে-ফিরে একমাত্র মিজানুর রহমান মিনুর নামই আসছে।তাঁর বাইরে এখন পর্যন্ত বিএনপির আর কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম কেউ বলতে পারছেন না।
জানতে চাইলে এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমি তো সেই ৯১ সাল থেকেই রাজশাহীর মানুষের মাঝে মিশে আছি।এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সৈরাচার হাসিনার পতন আন্দোলনেও সরাসরি রাজশাহীর মাঠেই ছিলাম।মেয়র ও এমপি থাকাকালীন এখানকার উন্নয়নেও কাজ করেছি।
আমি গাড়িবহর নিয়ে নয়, রিকশায় ঘুরে ঘুরে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।এখনো সেটাই করছি।তবে নির্বাচন উপলক্ষে রাজশাহীতে আমাদের দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন।আমিও রয়েছি।আমরা যে যার মতো সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।মিজানুর রহমান মিনু ছাড়াও এ আসনে কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ডাক্তার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নাম।
দলের গত বুধবার দুপুরে জামায়াতের পার্লামেন্টরি বোর্ড রাজশাহী সদর আসনে জাহাঙ্গীর আলমকে তাদের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করে।এর পর থেকে তিনিও নানাভাবে প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন।জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দলের সিদ্ধান্ত আমরা দুদিন আগে পেয়েছি।তবে এখন আমরা ঢাকার সমাবেশ নিয়ে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছি।
তার পরেও আগামী ১৯ জুলাইয়ের আগে রাজশাহী আমরা একটা নির্বাচনী সোডাউন করবো।এর মাধ্যমে নগরবাসীকে বড় পরিসরে জানানোর চেষ্টা করবো।রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপি-জামায়াত ও জাতীয় পার্টি মিলে মোট ১০ জন, রাজশাহী-৪ (বগামারা) আসনটি বিএনপি-জামায়াত মিলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৩ জন।
রাজশাহীর-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপি-জামায়াতের মিলে মোট ১০ জন এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপি-জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের মিলে এখন পর্যন্ত মোট ৯ জন সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন উপলক্ষে নানাভাবে তৎপরতা শুরু করেছেন বলে একাধিক দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।