শুক্রবার ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩২ চলচ্চিত্রের জন্য ৯ কোটি টাকা অনুদান অনুমোদন

আপডেটঃ ১২:১৯ অপরাহ্ণ | জুলাই ০২, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ সরকার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন ও সৃজনশীলতাকে আরও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মোট ৩২টি চলচ্চিত্রকে সরকারি অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই ৩২টি চলচ্চিত্রের জন্য মোট ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজে ব্যাপক সহায়তা করবে। এই অনুদান প্রদান কার্যক্রমটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং গত ১ জুলাই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. শারমিন আখতার স্বাক্ষরিত দুটি প্রজ্ঞাপনে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত ঘোষণা করা হয়।

অনুদানের মধ্যে রয়েছে ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে ৭৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে, যেখানে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোকে ২০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।এই উদ্যোগের ফলে দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা নতুন ও মানসম্মত সিনেমা নির্মাণে আরও উৎসাহিত হবেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।অনুদান প্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান’, ‘মায়ের ডাক’, ‘জুলাই’, ‘রূহের কাফেলা’, ‘পরোটার স্বাদ’, ‘খোঁয়ারি’, ‘জীবন অপেরা’, ‘জলযুদ্ধ’, ‘কবির মুখ দ্য টাইম কিপার’, ‘কফিনের ডানা’, ‘নওয়াব ফুজুন্নেসা’ এবং ‘জুঁই’।এগুলো দেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয়গুলোকে তুলে ধরবে এবং দর্শকদের কাছে নতুন ধারার সিনেমা উপস্থাপন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

অপরদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোর তালিকায় রয়েছে ‘মন্দ-ভালো’, ‘ফেলানী’, ‘ঝুঁকির মাত্রা’, ‘জীবনের গান’, ‘হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই’, ‘ভরা বাদর’, ‘১২৩০’, ‘বৃন্দারাণীর আঙুল’, ‘একটি সিনেমার জন্য’, ‘দাফন’, ‘সাঁতার’, ‘মাংস কম’, ‘গগন’, ‘অতিথি’, ‘বোবা’, ‘অদ্বৈত’, ‘আশার আলো’, ‘গর্জনপুরের বাঘা’, ‘হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস’ এবং ‘অপসময়’। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাগুলো মূলত নতুন ও উদীয়মান নির্মাতাদের প্রতিভা প্রকাশের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করবে এবং চলচ্চিত্র জগতের বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

সরকারের এই অনুদান প্রদানের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন জীবন সঞ্চার হবে, যা শিল্পীদের কাজকে সহজ করবে এবং দেশের বিনোদন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই উদ্যোগ শুধু নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণে সহায়তা করবে না, বরং দর্শকদের কাছে নতুন ধরনের গল্প ও কাহিনী উপস্থাপনের সুযোগও বৃদ্ধি করবে। ফলে চলচ্চিত্র শিল্পের মানোন্নয়ন ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে এই অনুদান কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

এছাড়া, দেশের চলচ্চিত্র খাতকে আন্তর্জাতিক মানে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও এই ধরনের সরকারি অনুদান একটি বড় ভূমিকা রাখে। নতুন ও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব শক্তিশালী হবে এবং বিদেশি দর্শকদের কাছে দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় ছড়িয়ে পড়বে। এভাবেই দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সরকারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে গণ্য হচ্ছে।

সর্বোপরি, এই অনুদান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি বড় সহায়ক হাত হিসেবে কাজ করবে, যা তাদের সৃষ্টিশীলতা এবং নির্মাণশৈলী উন্নত করতে সাহায্য করবে। এর ফলে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প আগামীতে আরও সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত হবে এবং দর্শকদের জন্য নতুন ধরনের বিনোদন নিশ্চিত হবে।

IPCS News : Dhaka :