দিনাজপুরে আসন্ন নির্বাচন: প্রার্থী ও ভোটারদের প্রস্তুতি
আপডেটঃ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ | জুন ২৮, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- দিনাজপুরের রাজনীতিতে বরাবরই তীব্র প্রতিযোগিতার ছাপ দেখা যায়।ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জেলার ছয়টি আসনে রাজনৈতিক দলগুলো পুরোদমে প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রচারণায় ব্যস্ত।দীর্ঘ সময় ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত থাকার পর এবার দিনাজপুরের মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর সুযোগ পেতে যাচ্ছে।দিনাজপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী।তবে এবার নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্যান্য দলও।বিএনপির পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর মতো দলগুলোও সক্রিয়।
দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) জামায়াতে ইসলামী এই আসনে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।বিএনপির তিন নেতা মনোনয়ন পেতে প্রচারণায় ব্যস্ত।অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন এবং খেলাফত মজলিসও নিজেদের প্রার্থী দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।
দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) বিএনপির চার নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী।জামায়াত তাদের একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে।এছাড়া অন্যান্য দলগুলোর প্রার্থীরাও ভোটারদের সমর্থন পেতে তৎপর।
দিনাজপুর-৩ (সদর) এই আসনে ছয়জন মনোনয়ন প্রত্যাশী।জামায়াত তাদের একক প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট মাইনুল আলমকে ঘোষণা করেছে।ইসলামী আন্দোলন এবং খেলাফত মজলিসের প্রার্থীরাও এখানে সক্রিয়।
দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) এই আসনে বিএনপির দুই নেতার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।জামায়াত আফতাব উদ্দীন মোল্লাকে প্রার্থী করেছে।এনসিপি এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন।
দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) বিএনপির চার প্রার্থী প্রচারণায় সক্রিয়।জামায়াত তাদের একক প্রার্থী আনোয়ার হোসেনকে ঘোষণা করেছে।এনসিপি, খেলাফত মজলিস এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরাও প্রচারণায় রয়েছেন।
দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জ) জামায়াতে ইসলামী এই আসনে ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এখান থেকে প্রার্থী হতে প্রস্তুত।অন্যান্য ইসলামী দলও তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
দিনাজপুরের ভোটাররা এবার সামাজিক পরিবর্তন ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রার্থীদের যাচাই করছেন।তরুণ ভোটারদের মধ্যে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির প্রতি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।নির্বাচন বিশ্লেষক মকসেদ আলী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ভোটারদের আস্থা ফিরে আসবে।তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার না হলে অনিয়মের আশঙ্কা থেকেই যাবে।
সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন।প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বলেন, ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কাঠামোর সংস্কার অপরিহার্য।দিনাজপুরে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তা নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে স্থানীয় এবং জাতীয় রাজনীতিতে নতুন দিক নির্দেশনা দেবে।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।