সোমবার ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

পাকিস্তানের দাবি: ৫ ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো, ক্ষতির পরিমাণ আকাশচুম্বী

আপডেটঃ ১২:১৫ অপরাহ্ণ | মে ০৮, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্প্রতি দাবি করেছে, তারা সীমান্তে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।এই দাবি ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।যদিও ভারত সরকার এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের এই দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অস্বীকার করেছে, তবুও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

পাকিস্তান পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভূপাতিত হওয়া যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে অন্তত তিনটি ছিল Su-30MKI, আর দুটি মিরাজ ২০০০ মডেলের। ভারতের বিমান বাহিনীতে এই বিমানগুলো অন্যতম আধুনিক এবং ব্যয়বহুল যুদ্ধযান হিসেবে বিবেচিত।একটি Su-30MKI যুদ্ধবিমানের দাম আনুমানিক ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি রুপি, যা মার্কিন ডলারে প্রায় ৮৫ থেকে ১০০ মিলিয়ন।অন্যদিকে একটি মিরাজ ২০০০ বিমানের দাম প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি রুপি।এই হিসেবে পাকিস্তান যদি সত্যিই পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করে থাকে, তাহলে ভারতের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫,০০০ কোটি রুপি, বা ৬২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এই ধরনের আর্থিক ক্ষতি শুধু বিমান হারানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।এর সঙ্গে যুক্ত হয় বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ, বিমানগুলোর অস্ত্রসজ্জা এবং কৌশলগত ব্যবহারের ক্ষতিও।প্রতিটি যুদ্ধবিমান শুধু একটি যন্ত্র নয়; এটি একটি দেশের প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ এবং বিশাল বাজেটের প্রতিনিধিত্ব করে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই ২০১৯ সালের বালাকোট অভিযান এবং পরবর্তী সময়ের ঘটনা মনে করছেন, যখন পাকিস্তান দাবি করেছিল, তারা দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে।তখনও ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছিল প্রায় ৬৫০ কোটি রুপি।এবারের দাবি তার চেয়েও অনেক বড়।

পাকিস্তানের তরফ থেকে কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে তারা তাদের দাবিকে বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছে।তবে ভারত এসব তথ্যকে ‘ডক্টরড’ বা সাজানো বলে দাবি করেছে।এর মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও বিষয়টি যাচাই করছে, বিশেষ করে স্যাটেলাইট চিত্র ও রেডিও যোগাযোগ বিশ্লেষণের মাধ্যমে।বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী সামরিক ভারসাম্যের ওপর এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করছেন।কেউ কেউ মনে করছেন, এটি পাকিস্তানের রাজনৈতিক বা কৌশলগত প্রচার আবার কেউ কেউ একে বড় ধরনের সামরিক বার্তা হিসেবেও দেখছেন।

বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা যেমন বাড়ছে, তেমনি এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করাও আন্তর্জাতিক মহলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।যদি পাকিস্তানের দাবি সত্য হয়, তবে এটি ভারতের জন্য বড় রকমের সামরিক ও মনস্তাত্ত্বিক ধাক্কা হবে।আবার যদি এটি ভুল প্রমাণিত হয়, তবে পাকিস্তানকেই আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহি করতে হবে।

IPCS News : Dhaka :