সোমবার ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রাজশাহীতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে

আপডেটঃ ১২:২৮ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ০৪, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে এসে ঠেকেছে। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর হলেও রাজশাহীতে কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা কম থাকায় হিমেল বাতাস বেড়ে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাজশাহীতে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ।একদিন আগে, অর্থাৎ ২ জানুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এমন শীতের কারণে রাজশাহী শহরজুড়ে মানুষের দুঃখ-দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।রিকশাচালক মো. সেলিম জানান, ঠান্ডা বাতাসের কারণে চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে।তিনি বলেন, “দুইটি প্যান্ট, সোয়েটার এবং জ্যাকেট পরেও শীত কমছে না।বাতাসে শরীরে কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে।ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা থাকে চারপাশে।সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাতাস প্রচণ্ডভাবে অনুভূত হচ্ছে।”

নির্মাণ শ্রমিক মানিক মিয়া জানান, সকাল-সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় শীত লাগছে।তবে রোদ ওঠার পর কমে যায়।কিন্তু রোদের তাপ শরীরে লাগছে না।বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।বৃহস্পতিবার থেকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজশাহী জুড়ে কনকনে হিমেল বাতাস বইছে। বাতাসের কারণে তাপমাত্রা কম হলেও শীতের অনুভূতি বেড়েছে।হিমেল বাতাসে নগরজুড়ে জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।ভোর রাত থেকে বিকেলের পর পর্যন্ত বাতাস প্রচণ্ডভাবে অনুভূত হচ্ছে।ফলে আগুন পোহানোর জন্য বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ।শীতের তীব্রতায় দিনমজুর এবং রিকশাচালকদের মধ্যে সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, “ডিসেম্বর মাসে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নেমেছিল, তবে তখন বাতাস ছিল না। এখন বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঠান্ডা আরও বেশি তীব্র লাগছে।”তিনি আরও বলেন, “এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। তবে শীতের তীব্রতা কমে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে।”শীতের এই তীব্রতা রাজশাহীর খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য অতিরিক্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিক এবং দিনমজুরদের কাজের সময় শীত মোকাবিলা করার জন্য অতিরিক্ত গরম কাপড়ের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

এদিকে, নগরীর গরম পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, সম্প্রতি তুলনামূলকভাবে জ্যাকেট এবং উলের সোয়েটারের বিক্রি বেড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের অসুস্থতার হারও বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি এবং ঠান্ডাজনিত অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

রাজশাহী শহরে শীতের এই তীব্রতা কবে নাগাদ কমবে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শীতার্তদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব করার জন্য শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।