সোমবার ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

দিনাজপুরে চিকিৎসকের দীর্ঘস্থায়ী চাকরি ও খামারবাড়ি নিয়ে বিতর্ক

আপডেটঃ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | জানুয়ারি ০৪, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

দিনাজপুর:- দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহরিয়ার কবির প্রায় দুই দশক ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল কার্ডিওলজি বিভাগে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি এখানেই দায়িত্ব পালন করছেন, যদিও তার বদলির আদেশ হয়েছিল।সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী, একজন চিকিৎসককে সাধারণত এক স্থানে তিন বছরের বেশি রাখা হয় না।

স্থানীয়রা দাবি করছেন, দীর্ঘ সময় এক জায়গায় থাকার সুযোগ নিয়ে তিনি দিনাজপুর সদরের রামডুবি এলাকায় একটি বিলাসবহুল খামারবাড়ি গড়ে তুলেছেন।শহরে আলোচিত এই খামারবাড়ি নাহার এ্যাগ্রো এন্ড ফিশারিজ নামে পরিচিত।দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এ খামারে গরু, ছাগল, পোলট্রি, চাষাবাদ এবং পুকুর রয়েছে।খামারবাড়িটি অত্যাধুনিক এবং ব্যয়বহুল বলে জানা গেছে।ডা. শাহরিয়ার কবিরের দাবি, এই খামার তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং এটি তৈরিতে তার বৈধ উপার্জিত অর্থ ব্যবহার হয়েছে।তিনি বলেন, “আমি একজন সর্বোচ্চ করদাতা।আমার আয়কর বিবরণীতে এসব উল্লেখ রয়েছে।খামারের জন্য কত টাকা ব্যয় হয়েছে, সেটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়।”

তবে দিনাজপুরে অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি এই বিলাসবহুল খামার গড়ে তুলেছেন।অভিযোগ রয়েছে, খামারের দেখাশোনার কারণে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না।এছাড়া, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ করার প্রক্রিয়াতেও তার ভূমিকা ছিল বলে স্থানীয়দের ধারণা।

এ বিষয়ে দিনাজপুরের একাংশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।কেউ কেউ তার দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান এবং খামারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।তবে সরকারি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসকের প্রায় দুই দশকের স্থায়ী অবস্থান এবং ব্যক্তিগত খামারবাড়ি নিয়ে বিতর্ক স্থানীয় মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।এটি কতটা যৌক্তিক, তা সময়ই বলে দেবে।

IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।