ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাসী আয়: নতুন রেকর্ড
আপডেটঃ ১২:২৩ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ০২, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রবাসী আয়ের এই জোরালো প্রবাহ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ধারাবাহিকভাবে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, গত কয়েক মাসে প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ডলার রেকর্ড হওয়া আয়কে ছাড়িয়ে গেছে এবারের ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স প্রবাহ। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় ছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। তাই ডিসেম্বরে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রবাসী আয়ের প্রবাহ নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষ করে, গত ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। এই ধারাবাহিক প্রবাহ গত নভেম্বরেও ২২০ কোটি ডলার এবং অক্টোবর মাসে ২৩৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় ছিল, যা ২০২৩ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য।
প্রবাসী আয়ের এই প্রবাহ ডলার সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট মোকাবিলায় প্রবাসী আয় সবার কাছে একমাত্র স্বাধীন অর্থনৈতিক উৎস, কারণ এতে কোনো বিদেশি মুদ্রার খরচ কিংবা ঋণ পরিশোধের প্রয়োজন হয় না। এই পরিস্থিতিতে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
তবে সংশ্লিষ্টরা সতর্ক করেছেন, প্রবাসী আয় সঠিকভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য হুন্ডি বা অবৈধ চ্যানেল বন্ধ করতে হবে। তা না হলে প্রবাসী আয়ের প্রকৃত সুফল নিশ্চিত করা যাবে না।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দেশে প্রবাসী আয় প্রতিশ্রুতিশীল অবস্থা ধারণ করছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার পাশাপাশি ডলার ঘাটতি মোকাবিলায় এই আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেল পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।”প্রবাসী আয়ের এই নতুন রেকর্ড দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী।
IPCS News : Dhaka :