পেটের ভেতর বিমানযাত্রীর ইয়াবা বহন আটক ০১ জন
আপডেটঃ ৫:১৮ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ১১, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ
প্রেস রিলিজপেটের ভেতর বিমানযাত্রীর ইয়াবা বহন £ এয়ারপোর্ট এপিবিএন কর্তৃক হশাআবিতে ৩০৮০ পিসইয়াবাসহ আটক ০১ জনহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় ৩০৮০ পিস কথিত মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পেশাদারমাদক কারবারি চক্রের ০১ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।এয়ারপোর্ট (১৩) এপিবিএনের একটি বিশেষ টিম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ডিউটি করাকালীন গত ০৮/১১/২০২৪ খ্রি. ১০.৪৫ ঘটিকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগমনী ক্যানোপি-১ এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল এর সামনে নতুন রাডার বিল্ডিং এর পূর্ব পাশে ০১ জন যাত্রী নিজ দেহে অবৈধ মাদকদ্রব্য কথিত ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নতুন রাডার বিল্ডিং এর পূর্ব পাশে পৌছালে অভিযুক্ত মোঃ জুয়েল মিয়া (৩৩) সু-কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে এপিবিএন ফোর্স অভিযুক্তকে ধৃত করে । তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে এয়ারপোর্ট এপিবিএনের বিশেষটিম অভিযুক্তকে এএপি অফিসে নিয়ে আসেন এবং বিধি মোতাবেক জিজ্ঞাসাবাদ ও তার দেহ তল্লাশী করে।জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশীর এক পর্যায়ে ধৃত অভিযুক্ত মোঃ জুয়েল মিয়া (৩৩) জানান যে, তার পেটে তিনি কথিতইয়াবা ট্যাবলেট বহন করছেন। 73/01./07917 /11২1.25, ফ্লাইট নং-730 440 যোগে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা পরিবহনের উদ্দেশ্যে বিমানযাত্রার আগে অভিযুক্ত ব্যক্তি মোঃ জুয়েল মিয়া (৩৩) ইয়াবা গুলো কয়েক ভাগে ভাগ করে কালো টেপে মুড়িয়ে কলার সাথে সেবন করে বলে জানান। অভিযুক্তকে হলি ল্যাব ডায়গনস্টিক কমপ্রেক্স এ এক্সরে করালে তার পেটের ভিতরে অস্বাভাবিক ডিম্বাকৃতি বেশকিছু বস্তুর অভিত্ব দেখাযায়। অতঃপর ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে প্রাকৃতিক কার্ষের মাধ্যমে অভিযুক্তের নিজ হাতে উপস্থাপন মতে ৭১(একাত্তর) টি ডিম্বাকৃতির কালো টেপ দ্বারা মোড়ানো কথিত ইয়াবা ট্যাবলেটের পোটলা উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারকৃত ৭১ (একাত্তর) টি ডিম্বাকৃতির কালো টেপ দ্বারা মোড়ানো পোলা খুলে গণনা করে ৩০৮০ (তিন হাজারআশি) পিস কথিত ইয়াবা ট্যাবলেট (যার ওজন ৩০৮ গ্রাম) পাওয়া যায়। ধৃত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১৮সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর ১০(খ) ধারার অপরাধে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।ধৃত অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের অজ্ঞাতনামা বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিকটঅবৈধ পন্থায় মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে আসছে বলে জানা যায়। পাকস্থলীতে অধিক পরিমাণে অস্বভাবিক ও ভারীবন্ত বহনের কারণে অভিযুক্ত আসামী অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেলহাসপাতাল, ঢাকায় ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি মেডিসিন ইউনিট-১ পুরুষ ওয়ার্ড, বেড নং-বি-৬৪-তেকুর্মিটোলা ঢাকা ভর্তি আছেন। তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাআগের তুলনায় কম বলে অনেক অপরাধী অপরাধ সংগঠনে এয়ারপোর্ট ব্যবহারের সুযোগ নিচ্ছে বলে ধারণা করাহয়।
IPCS News : Dhaka