মধুর লোভ: স্ব-দায়িত্ব ছেড়ে ১০ বছর ধরে অতিরিক্ত দায়িত্বে তিনি
আপডেটঃ ১:০৩ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ২৫, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- ১০ বছরের অধিক সময় ধরে স্ব-দায়িত্বে থাকা কর্মস্থলে না থেকে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মস্থলে থাকেন তিনি।এখানেই থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি।যার ফলে স্ব দায়িত্বের কাজের ফাইল পত্রের স্বাক্ষর, কাজের ধিরগতিসহ নানা সমস্যার সম্মুক্ষিন হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরটি।রেলওয়ে পশ্চিম রাজশাহীর সদর দপ্তরের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক অফিসের উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।সাংশ্লিষ্ঠ অফিস সূত্রে জানা গেছে,১০ বছর আগে মতিউর রহমানের বদলি হয় রেলওয়ে সৈয়দপুরের অধিনে সান্তাহার এসএসএই/ই অফিসে।উর্ধতন মহলে তদবির করে অতিরিক্ত দায়িত্বে পূর্বের কর্মস্থল রাজশাহীতে চলে আসেন তিনি।এর পর থেকে স্ব কর্মস্থল সান্তাহারে না গিয়ে এখানেই আছেন তিনি।সান্তাহার অফিসের ইনচার্জ আবু মুঈদ(ডিসিওএস) বলেন,উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী পদটি গুরুত্বপূর্ণ পদ।মতিউর রহমান মাসে এক -দুইদিন আসেন।
যার ফলে কাজের বহু সমস্যা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, অফিসটির অনেকেই বলেন, রাজশাহী প্রধান সরণ্জাম নিয়ন্ত্রক অফিসে থাকা কালিন সময় থেকেই তিনি টেন্ডার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পরেন।এখানে উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী পদে থাকা কালিন সময়ে টেন্ডারের গোপনতথ্য পাচার ও টেন্ডার দাতারা সাথে কমিশনে কাজ করে বহু অর্থের মালিক তিনি।
এখানকার অবৈধ মধুর লোভেই স্ব-কর্মস্থলে যাননা তিনি।জানা গেছে রেলওয়ের ১৯ বছরের কর্ম জীবনে রাজশাহী নগরীর ভদ্রা আবাসিক এলাকায় অত্যাধুনিক বিলাস বহুল দুটি ফ্লাট কিনেছেন।যার একটিতে তিনি থাকেন,অন্যটি ভাড়ায় আছে।এছাড়া তার স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেই ঠিকাদারি করে আসছেন তিনি।
যার কারনে তিনি স্ব কর্মস্থল সান্তাহারে বিমূখ তিনি।মতিউর রহমান তার উপর আনিত অভিযোগের বিষয়টি সত্যনয় বলে জানান।তিনি বলেন, কতৃপক্ষ তার সততা,কাজের দক্ষতার জন্য তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে রাজশাহী অফিসে নিয়ে এসেছে।দই যায়গায় কাজ করতে তার অসুবিধা হয়। কতৃপক্ষকে বললেও থাকে ছাড়ছেনা।
তিনি সপ্তাহে তিন দিন সান্তাহারে বাকি দিন রাজশাহী অফিসে কাজ করে থাকেন।এছাড়া দুটি বিলাস বহুল ফ্লাট তার আছে স্বীকার করলেও টেন্ডার সিন্ডিকেট ও কোন ঠিকাদারি কাজে জড়িত নয় বলে তিনি জানান।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।