শাহ্ জালালে ৫ টি সোনার বার ও ৫০ টি স্বর্ণের চেইনসহ ক্যাবের গাড়ি চালক আটক
আপডেটঃ ৮:১২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ১৫, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের গাড়ি চালক সালেকুজ্জামানকে ৫টি সোনার বার ও ৫০টি স্বর্ণের চেইনসহ আটক করেছে বিমান বন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।তিনি জানান, ড্রাইভার সালেকুজ্জামান হজরত শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২১ নাম্বার গেইট ব্যবহার করে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করেন।এরপর ১ নাম্বার লাগেজ বেল্টের টয়লেট থেকে সোনারবার এবং স্বর্ণের চেইনগুলো সংগ্রহ করেন।অত:পর এই স্বর্ণগুলো নিয়ে কাস্টমসের গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তার আচরণ এবং মুভমেন্ট দেখে এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হয়।
গ্রীন চ্যানেল পেরিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসা হয়।জিয়াউল হক আরও জানান, এপিবিএনের অফিসে এনে ক্যাবের গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন এবং পরবর্তীতে তিনি সোনা চোরাচালানের কথা স্বীকার করেন।

এরপর তার শরীর তল্লাশী করলে তিনি নিজ হাতেই স্বর্ণের প্যাকেটগুলি বের করে দেন।সোনার বার গুলো কালো স্কচটেপে মোড়ানো ছিলো এবং স্বর্ণের চেইন গুলো সাদা স্কচটেপে মোড়ানো ছিলো।৫টি সোনার বার (৯৯.৯৬ গ্রাম করে প্রতিটি বার) পাওয়া যায়।সোনার বার গুলির ওজন ৪৯৯.৬২ গ্রাম, স্বর্ণের চেইন এবং ব্রেসলেটের ওজন ৩২৩.৯০ গ্রাম।
সবমিলে ৮২৩.৫২ গ্রাম।যার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা। জিয়াউল হক জানান, আমরা জানি যে ঈদকে সামনে রেখে একটি চক্র বিমান বন্দরকে ব্যবহার করে চোরাচালানে সক্রিয় হয়েছে।এই ধরনের প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গত ১২ এপ্রিল থেকে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজকে অভিযানের তৃতীয় দিনে এই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।গত ১২ এপ্রিল অভিযান শুরুর প্রথম দিনেও প্রায় ১ কেজি সোনা, ১০৭ টি মোবাইল, বিপুল পরিমান সিগারেট ও শুল্কযোগ্য কসমেটিকস উদ্ধার করে এপিবিএন।
এই অভিযান আরো জোরদার করা হবে।জিয়াউল হক আরো জানান যে, উদ্ধার হওয়া সোনার বার এবং স্বর্ণের চেইনের বিষয়ে ফৌজদারি আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
IPCS News : Dhaka : এপিবিএন : ঢাকা।