সোমবার ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

মদনে সার ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষক দিশেহারা।

আপডেটঃ ১২:১৩ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২১, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

মদন:- সার ও জ্বালানি  তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে মদন উপজেলার সাধারণ কৃষক দিশেহারা।কৃষি নির্ভর এই উপজেলার অর্থনীতি মূল ভিত্তি, কৃষিতে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।আমন ধান চাষাবাদ নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছে কৃষকরা।সার ও তেলের এর মূল্য কমানো না হলে কৃষি খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন কৃষকরা।মদন কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলিত রোপা আমন মৌসুমে মদন উপজেলা চাষাবাদের লক্ষ্য নাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৯ শত শত ৯০ হেক্টর।উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা সাধারণত ২৮ হাজার ৫ শত ১৬ মেট্রিক টন।চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি অজুহাতে সরকার ১ আগস্ট থেকে ইউরিয়া স্যারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধি করেছে।ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকা পূর্ন নির্ধারণ করেছেন।

হটাৎ করে ইউরিয়া স্যার ও তেলের মূল্য বৃদ্ধি করায় চলিত আমন মৌসুমে চাষাবাদ নিয়ে বেকায়দায় পরেছে মদনের কৃষকরা।উপজেলা চানঁগাও ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের কৃষক আলতু মিয়া সার ও তেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কৃষকের দুরবস্থার কথা বলেন, সময়ের সাথে সাথে কৃষিখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। চাষাবাদ এখন অনেকটাই যন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়েছে।

ট্রাক্টর পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে জমি চাষাবাদের পাশাপাশি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটাঁ ও হ্যানটলি দিয়ে তা বাড়িতে আনা হয়।সার ও তেলের মূল্য বৃদ্ধি মানে জমি চাষাবাদ ধানের ছারা রোপণ ধান কর্তন এবং তা ঘরে তোলা পর্যন্ত সর্বত্র  বাড়তি দামের প্রভাব পড়বে।

উপজেলার মদন ইউনিয়নের কাপাসাটিয়া গ্রামের কৃষক মতি মিয়া জানান, এ বছর বৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে,এখন আমন ধান চাষাবাদ করার উপযুক্ত সময়।আমরা অনেকটা সেচ নির্ভর হয়েছি,সেলু ইঞ্জিন দিয়ে জমিতে সেচ ও ট্রাক্টর দিয়ে চাষাবাদ করতে গিয়ে কৃষকের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানি গ্রামের কৃষক খায়রুল কবির বলেন,আগে ১ কাটা (১০) শতাংশ জমি ট্রাক্টর দিয়ে চাষাবাদ করতে যেখানে খরচ লাগত, ২ শত টাকার তেল,এর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন সেই জনি চাষাবাদ করতে লাগছে ৩ শত ৫০ টাকা। 

IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : মদন।