সোমবার ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

ধরা দিয়েছে পেঁয়াজ, নাগালের বাইরে কাঁচা মরিচে

আপডেটঃ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ | মার্চ ১২, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে কেজিতে প্রায় ১০ হতে ১৫ টাকা পেঁয়াজের দাম কমেছে।তবে কেজিতে ১০ হতে ১৫ টাকা বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।এছাড়া প্রায় সকল ধরনের সবজির দাম কমতির দিকে রয়েছে।গত সপ্তাহে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা ছিলো এখন তা স্থিতিশীল রয়েছে।শুক্রবার (১১ মার্চ) রাজশাহী নগরীর কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া গেছে।তবে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন তেলসহ সকল ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।গত সপ্তাহে সয়াবিন তেলের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী দামে বিক্রি ও বাজারে কৃত্রিম ভাবে তেল সংকটের চিত্র দেখা গিয়েছিলো বর্তমানে সেটি নেই।বাজারে পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ থাকায় নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে এবং তা ক্রেতাদের চাহিদা মতই দেওয়া হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১০-১৫ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।কাঁচা মরিচ কেজিতে ৫৫-৬০ টাকা বিক্রি হলেও তা ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।আলু ২০ টাকা থেকে ৩ টাকা কমে ১৭ টাকা, আদা ৫০ টাকা, দেশী রসুন ৫০ টাকা তবে চায়না রসুন গত ৮৫-৯০ টাকা বিক্রি হলেও তা হঠাৎ বেড়ে ১৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বেগুন ১৫ টাকা কেজি।নতুন সবজি ফুলকপি ও ঢ়েড়স ৪০ টাকা, মসুর ডাল ১২০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা, বুট ১০০ টাকা এবং বিদেশী বুট ৭৫ টাকা, চিনি ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।কাঁচামাল ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, প্রায় সকল ধরনের কাঁচামালের দাম এখন কমতির দিকে।পেঁয়াজের বাজার আমদানি কম থাকায় গত সপ্তাহে বেশী ছিলো তবে এখন তা কমে গেছে।

এদিকে সয়াবিন তেল নিয়ে গত সপ্তাহে যে অস্থিরতা ছিলো বর্তমানে নেই ।মুদি ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা মানিক বলেন, সয়াবিন তেল নিয়ে যে সংকট ছিলো তা বর্তমানে নেই।পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে।রকম ভেদে বোতলজাত তেল ১৬৪ হতে ১৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।গত সপ্তাহের মতই  প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে সকল ধরনের মাছ ও মাংসের দাম ।

কলেজ শিক্ষার্থী ইরিন আমিন বলেন, বর্তমানে সকল ধরনের দামে যে উর্ধ্বগতি তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।এগুলো নিয়ন্ত্রণের সঠিক নজরদারি বাড়ানো উচিত নইলে সাধারণ মানুষের চলা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা শাহজাহান খান বলেন, এখনি দ্রব্য মূল্যের দামে লাগান টেনে ধরতে হবে নইলে চরম অসুবিধায় পড়বে মানুষ।

এমনিতেই করোনার সময়ে অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছে এবং আয় রোজগার কমে গেছে।সামনে রমজান এই সময়ে আরো কঠোর নজরদারি সরকারের পক্ষ হতে করলে কিছুটা হলেও স্বস্থি আসবে বলে জানান।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী।