সোমবার ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

পল্লীবন্ধু এরশাদকে গায়ের জোরে স্বৈরাচার বলা হয় রাজশাহীতে গণতন্ত্র দিবস পালন অনুষ্ঠানে বক্তারা

আপডেটঃ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ১১, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে গায়ের জোরে স্বৈরাচার বলা হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান, মহানগর কমিটির আহ্ববায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন।গত বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মো: ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় ও রাজশাহী মহানগর জাতীয় পাটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “গণতন্ত্র দিবস” পালন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেছেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন প্রকৃত গণতন্ত্রমনা রাষ্ট্রনায়ক।আদালত পল্লীবন্ধুকে বৈধ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।তিনি বৈধ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।তাই কোনোভাবেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বৈরাচার বলা যাবে না।

তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামনে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার সুযোগ ছিল।কিন্তু পল্লীবন্ধু গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংবিধানকে সমুন্নত রেখেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।পল্লীবন্ধু ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে দেশ উল্টো পথে হেঁটেছে।৯৬ সালের পর থেকে পরপর চারবার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।ঘুষ, দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা বেড়েছে।

পল্লীবন্ধুর জাতীয় পার্টির শাসনামলে হত্যার রাজনীতি ছিল না।রাজশাহী মহানগর জাতীয় পাটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সামরিক শাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল।তারই ধারাবাহিকতায় দিনটি পালন করে আসছে জাতীয় পার্টি।

গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে ১৯৯০ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আলাহাজ্জ্ব হুসাইন মুহাম্মাদ এরশাদ স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।তিনি বলেন, দেশের মানুষকে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ দিয়েছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

তিনি এদেশের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।তাই আমরা পল্লীবন্ধুর আদর্শে নতুন বাংলাদেশ গড়ে দেশের মানুষকে মুক্তি দেব।

IPCS News : Dhaka : বাবুল : রাজশাহী।