৪ কোটি টাকার প্রকল্পে ঘুষের অভিযোগ, ইউএনও–পিআইও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য
আপডেটঃ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৯, ২০২৫
নিউজ ডেস্কঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে টিআর-কাবিখা প্রকল্পের প্রায় ৪ কোটি টাকার বাস্তবায়নকে ঘিরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রেজাউল করিমের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে। এই দ্বন্দ্বে এখন উপজেলা প্রশাসনে উত্তেজনা বিরাজ করছে।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পিআইও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন।
চেয়ারম্যানদের অভিযোগ, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এবং কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পে অনুমোদনের আগে পিআইও রেজাউল করিম ২৫ শতাংশ ঘুষ দাবি করেছেন। পাশাপাশি সরকারি নিয়মের বাইরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট-আয়কর এবং প্রতিটি প্রকল্পের জন্য ‘মাস্টাররোল ফাইলিং’ বাবদ তিন হাজার টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পিআইও রেজাউল করিম বলেন, “গত শুক্রবার ইউএনও সানজিদা রহমান ও তার নাজির আমার অফিসে বসে প্রকল্পের তালিকা তৈরি করে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি যাচাই-বাছাই ছাড়া স্বাক্ষর করতে রাজি না হওয়ায় ইউএনও মহোদয় ক্ষিপ্ত হন।”অন্যদিকে ইউএনও সানজিদা রহমান জানান, “প্রকল্পের ৮০ শতাংশ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের প্রস্তাব অনুযায়ী এবং বাকি ২০ শতাংশ উপজেলা পরিষদের প্রকল্প। তালিকা প্রস্তুত করে স্বাক্ষরের জন্য বলায় পিআইও অস্বীকৃতি জানান। অফিস বন্ধের দিনে আমি তার অফিসে গিয়েছিলাম, তাতে সমস্যা কোথায়? সরকারি অফিস তো সবার জন্যই উন্মুক্ত।”
দ্বন্দ্বের এই ঘটনাকে ঘিরে ঈশ্বরগঞ্জে প্রশাসনিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রকল্পের টাকার বণ্টন ও নিয়ন্ত্রণ নিয়েই মূলত এই বিরোধের সূত্রপাত হয়েছে। জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্তে নামতে পারে বলে জানা গেছে।
IPCS News : Dhaka :

