১৪ স্বামীর ‘প্রেমজাল’: কোটি টাকার বিয়ে বাণিজ্যে আলোচিত ডালিয়া
আপডেটঃ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ২২, ২০২৫
নিউজ ডেস্কঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কোটালীপাড়ার কুশলা ইউনিয়নের এক নারী—ডালিয়া—সম্প্রতি দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছেন। নাম বিভ্রান্তিকরভাবে বদলিয়ে আক্তার সাথী, ডালিয়া খানম কিংবা মায়া নামে তিনি প্রতারণার জাল বিছিয়েছেন একের পর এক পুরুষের জীবনে।মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই ডালিয়া এখন পর্যন্ত ১৪ জন পুরুষকে বিয়ে করেছেন, যাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন পেশার মানুষ র্যাব, আনসার, পুলিশ কনস্টেবল, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, এমনকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও রয়েছেন সেই তালিকায়। অভিযোগ অনুযায়ী, বিয়ের পর তিনি স্বামীদের উপর মানসিক ও আর্থিক নির্যাতন চালিয়ে, মোটা অঙ্কের দেনমোহর ও অন্যান্য সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেন।
এক প্রাক্তন র্যাব সার্জেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, “চাকরিতে থাকলে আমি আজ প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হতাম। কিন্তু ডালিয়ার ফাঁদে পড়ে জীবনটাই শেষ হয়ে গেছে।” তিনি জানান, বিয়ের পর ৮ লাখ টাকা দিয়েছেন ডালিয়ার বাবাকে, যা আজও ফেরত পাননি।ডালিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ প্রতারণা মামলা চলমান রয়েছে।ডালিয়ার এই বেপরোয়া জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে তার নিজ ভাইও। ছোট ভাই হাসিবুর শেখ বলেন, “আমার বোন ভালো না। তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।”স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা ডালিয়া ইউটিউবে ‘অসামাজিক অভিনয়’ করে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে পরিচয় গড়ে তোলেন। এরপর সেই সম্পর্ক রূপ নেয় বিয়েতে।
প্রতিটি সম্পর্কের শেষে স্বামীরা নিঃস্ব—কারও চাকরি চলে গেছে, কেউ হয়ে পড়েছেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত ১৪ জনের খোঁজ মিললেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে এলাকাবাসী—ডালিয়ার বিরুদ্ধে যেন দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যাতে আরও কেউ তার প্রতারণার শিকার না হয়।
IPCS News : Dhaka : তাজুল ইসলাম বাদল : নরসিংদী।
