বৃহস্পতিবার ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে অবশ্যই আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

আপডেটঃ ১২:৪২ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ১৩, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা ১৫ কর্মকর্তা‌কে অবশ্যই আদালতে হাজির করতে হবে।শনিবার (১২ অক্টোবর) সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনের একদিন পর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কাছে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ জানায়নি যে ওই কর্মকর্তাদের আটক রাখা হয়েছে। মিডিয়ার খবরে যা এসেছে, সেটিকে আমরা আনুষ্ঠানিক হিসেবে নিচ্ছি না। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় যে তারা আটক, তাহলে আইনের বিধান অনুযায়ী তাদের অবশ্যই আদালতে হাজির করতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “সংবিধান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন ও ফৌজদারি কার্যবিধি—সব ক্ষেত্রেই স্পষ্টভাবে বলা আছে, গ্রেফতার করা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া কাউকে ২৪ ঘণ্টার বেশি আটক রাখা যায় না।”এর আগে সেনাসদরের অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়া ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তাদের মধ্যে ১৪ জন চাকরিরত এবং একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) রয়েছেন। এদের সবাইকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিগত আওয়ামী শাসনামলে সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের দুটি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় হত্যাকাণ্ডের একটি মামলায় গত ৮ অক্টোবর ওই ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।সেনাসদর জানায়, সেনাবাহিনী ন্যায়বিচারের পক্ষে এবং হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “যখন কোনো ব্যক্তি গ্রেফতার হন, তখন আদালতই তার আটক বা মুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়। আদালত চাইলে তাকে আটক রাখতে পারে, চাইলে জামিনে মুক্তি দিতে পারে। এখানেই আদালতের কর্তৃত্ব স্পষ্ট।”

IPCS News : Dhaka :