হজ ব্যবস্থাপনায় অসাধু সিন্ডিকেট: হজযাত্রীদের ভোগান্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির ভয়
আপডেটঃ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশে হজ ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে অসাধু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ চলে আসছে, যা বর্তমানে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, হজযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং বিমান সরবরাহের ক্ষেত্রে বিশাল দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে।এই সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সাধারণ মুসল্লিরা চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন।
সরকারি ও বেসরকারি বিমান ভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সংক্রান্ত খরচের ক্ষেত্রে বিপুল অস্বচ্ছলতা ও অনিয়ম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং সেই টাকা নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে।ফলে সাধারণ যাত্রীরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।এই সিন্ডিকেটের প্রধান ভূমিকা হচ্ছে হজযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা এবং সেই অর্থ লোপাট করা।অনেক হজযাত্রী অভিযোগ করেছেন, টিকিট বুকিং বা বিমান ভাড়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি নেওয়া হচ্ছে, অথচ বিমানবন্দর থেকে শুরু করে হজ ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত তারা কাঙ্খিত সুবিধা পাচ্ছেন না।হজের জন্য নির্ধারিত বাসস্থান, খাদ্য, এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলোতে অনিয়ম এবং অযৌক্তিক লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন হজযাত্রীরা।
এই দুর্নীতির মূলহোতা হলেন হজ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত কিছু অসাধু এজেন্সি, ভ্রমণ সংস্থা এবং ব্যক্তিগত সিন্ডিকেট, যারা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন খাত থেকে হজযাত্রীদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।অনেক হজযাত্রী অভিযোগ করেছেন, তাদের অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা মিলছে না।এমনকি সরকারি পর্যায় থেকেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
তাদের দাবি, এই সব অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারি ও প্রশাসনিক পর্যায়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।তবে প্রশাসনের দায়সারা তৎপরতা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়মুক্তির কারণে এই সিন্ডিকেট আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।হজযাত্রীদের অভিযোগ, সরকারী-বেসরকারি বিমানের চুক্তি থেকে শুরু করে বিমান টিকিটের দাম ও আবাসনের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট হচ্ছে।
অতীতের তুলনায় এবার পরিস্থিতি আরও জটিল ও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। অনেক যাত্রী এখন আত্মীয়স্বজন ও নিজের সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে শুধু হজে যাওয়ার জন্য ব্যাংক ঋণ কিংবা ব্যক্তিগত ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।যা পরবর্তীতে তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে হজ পরিচালনাসংস্থাগুলোর আরও সতর্ক ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন রয়েছে, অন্যথায় হজযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ চরম পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই সমস্যা আরও প্রকট হবে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
IPCS News : Dhaka :