রবিবার ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

সাবেক রাষ্ট্রপতির গোপন বিদেশ যাত্রা: আইনি চাপ না রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত?

আপডেটঃ ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | মে ০৮, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সম্প্রতি তার ছেলে ও শ্যালককে সঙ্গে নিয়ে হঠাৎ করেই দেশ ত্যাগ করেছেন।এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি না আসায় শুরু হয়েছে নানা জল্পনা ও আলোচনা।সরকারের পক্ষ থেকেও এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই সফরটি ছিল অত্যন্ত গোপনীয় এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে নেয়া।

মো. আবদুল হামিদের শ্যালক সম্প্রতি একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আলোচনায় এসেছেন।তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবেও পরিচিত।তার বিরুদ্ধে মামলা এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা অনেকের কাছে এই সফরের মূল কারণ হিসেবে মনে হচ্ছে।অনেকে ধারণা করছেন, রাজনৈতিক ও আইনি ঝুঁকি এড়াতেই এ ধরনের দ্রুত বিদেশ যাত্রার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, যেমন চিকিৎসা সুবিধা, নিরাপত্তা, সরকারি যানবাহন, কূটনৈতিক পাসপোর্ট ইত্যাদি।সাধারণত, এমন একজন রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা হলে তা সরকারের রেকর্ডে থাকেই, কিন্তু এবারের যাত্রা ছিল এতটাই নীরব যে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন এটি রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ, আবার কেউ বলছেন, মামলার ভয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশত্যাগ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “যদি সবকিছু স্বচ্ছ হয়, তাহলে এই যাত্রা সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য প্রকাশ করা যেত।গোপনীয়তা থাকলে জনমনে সন্দেহ তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক।”বর্তমানে এই সফরের বিস্তারিত উদ্দেশ্য ও অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে প্রশাসন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।দেশের জনগণও অপেক্ষা করছে—এই রহস্যের সঠিক ব্যাখ্যা কখন আসবে।

আপনি চাইলে এই প্রতিবেদনটি পত্রিকা বা অনলাইন নিউজপোর্টালের জন্য সম্পাদনা করে দিতেও পারি।

IPCS News : Dhaka :