রবিবার ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রেকর্ডগড়া রানও যথেষ্ট নয়: বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ

আপডেটঃ ১২:১৬ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ২৮, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য দিনটি হতে পারত স্মরণীয় এক সাফল্যের, তবে সেটা পরিণত হলো হতাশার এক গল্পে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে রেকর্ডগড়া রান তুলেও প্রতিপক্ষের কাছে বড় ব্যবধানে হার মানতে হয়েছে টাইগারদের।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হাই-স্কোরিং এই ম্যাচে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৫৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়।দলের ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন।ওপেনারদের ঝড়ো শুরু, মিডল অর্ডারের দৃঢ়তা, আর শেষদিকে লোয়ার অর্ডারের ক্যামিও ইনিংস সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসটি যেন ছিল এক আদর্শ ব্যাটিং প্রদর্শনী।তামিম ইকবালের ১২৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, লিটন দাসের ৭০ রানের ঝলমলে ব্যাটিং, এবং শেষে আফিফ হোসেনের মাত্র ২৮ বলে ৫০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস সবকিছু মিলে প্রতিপক্ষের সামনে বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশ।এটি ছিল দেশের মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

তবে এই বিশাল রানও যথেষ্ট হয়নি।জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রতিপক্ষ শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে থাকে।তাদের ওপেনাররা ঝড়ো শুরু এনে দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান।প্রথম ১০ ওভারেই ৯০ রান তুলে ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে তারা।বাংলাদেশি বোলারদের যেন কোনো অস্ত্রই কার্যকর হচ্ছিল না।মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাসকিন আহমেদরা উইকেট শিকার করতে ব্যর্থ হন, আর মোস্তাফিজুর রহমানও তার সেরা ছন্দে ছিলেন না। একের পর এক বাউন্ডারির বন্যায় বাংলাদেশি ফিল্ডারদের মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছিল।

প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেঞ্চুরি হাঁকান তাদের অধিনায়ক।তার ১৪০ রানের ইনিংস এবং মধ্য-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কার্যকর সহযোগিতায় ৪৯তম ওভারেই লক্ষ্য টপকে যায় প্রতিপক্ষ।ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, “আমরা ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত খেলেছি, তবে বোলিং বিভাগে আমাদের পরিকল্পনা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছি।এত বড় রান করেও হারটা হতাশাজনক। আমাদের ডেথ বোলিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এত বড় স্কোর করেও বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে পরিকল্পনার অভাবে হারতে হয়েছে। বিশেষ করে ডেথ ওভারে রান আটকানো এবং চাপ সামলানোর কৌশলে দুর্বলতা স্পষ্ট।বাংলাদেশের এই পরাজয় আবারও মনে করিয়ে দিল, শুধুমাত্র ব্যাটিং ভালো করলেই জেতা সম্ভব নয়। মাঠে তিন বিভাগেই সমান দক্ষ হতে হবে।রেকর্ডগড়া ইনিংসের পরও এমন পরাজয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন করে কৌশলগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন তাকিয়ে আছেন পরবর্তী ম্যাচের দিকে।টাইগাররা কি ঘুরে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতিশোধ নিতে পারবে? নাকি একই সমস্যায় জর্জরিত থেকে আরও হতাশায় ডুবে যাবে? সময়ই দেবে উত্তর।

IPCS News : Dhaka :