রংপুর-লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড সাত শতাধিক বাড়িঘর
আপডেটঃ ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ০৬, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
রংপুর ও লালমনিরহাট জেলায় হঠাৎ আঘাত হানা আধা ঘণ্টার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে সাত শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা ও জমির ফসল। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়ে অন্ধকারে ডুবে গেছে একাধিক গ্রাম। গৃহহীন পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। অপরদিকে দেশের সাত জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন।
রবিবার সকালে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে এবং লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নে এই ঝড় আঘাত হানে। প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী এই ঝড়ে ভেঙে গেছে সাড়ে সাত শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও দোকানপাট। বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাতটি গ্রাম। ধানক্ষেত ও ফলদ গাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।গঙ্গাচড়ার নোহালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছে। রান্নাঘর ও জ্বালানির অভাবে তারা খাবার তৈরি করতে পারছে না। আলমবিদিতর ইউপি সদস্য রেজাউল হক জানান, কয়েকটি গ্রামে দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে এবং ঘর চাপা পড়ে এক কৃষকের দুটি গরু মারা গেছে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন—বাদশা মিয়া, মামুদ মিয়া ও শহিদুল ইসলাম। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে এবং সরকারি সহায়তা দ্রুত দেওয়া হবে। রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার। তবে পর্যাপ্ত রাডার না থাকায় আগাম কোনো পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে বজ্রপাতে সাত জেলায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লার হোমনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ তিনজন, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাদ্রাসাছাত্রসহ দুইজন, বগুড়ার গাবতলীতে এক গৃহবধূ, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক স্কুলছাত্র, গাইবান্ধার সাঘাটায় এক কৃষক, নওগাঁর রাণীনগরে এক কৃষক এবং ঝিনাইদহে দুই কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে জরুরি সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে দুর্গত এলাকায় এখনো খাদ্য, আশ্রয় ও বিদ্যুতের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
IPCS News : Dhaka :