মঙ্গলবার ২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া উচ্ছেদ ‘সঠিক নয়’: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাসির

আপডেটঃ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ২৮, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান এবং ভবঘুরে-ভাসমানদের উচ্ছেদ অভিযানের সমালোচনা করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দোকান উচ্ছেদ বা ভবঘুরে সরানো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।”

নাসিরের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি লিখেছেন, “ক্যাম্পাসে ভবঘুরে, নেশাগ্রস্ত বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির উপস্থিতি নারী শিক্ষার্থীসহ সবার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা ও নজরদারি নিশ্চিত করা জরুরি।”ছাত্রদল নেতা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বহু দোকান রয়েছে—কিছু অনুমোদিত, কিছু ভাসমান। এর অধিকাংশই শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে। তাই এসব দোকান পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও অনুমোদন প্রক্রিয়া তৈরি করা প্রয়োজন। তার ভাষায়, “দীর্ঘদিন ধরে যারা দোকান চালিয়ে আসছেন, তাদের হঠাৎ উচ্ছেদ করা ন্যায়সংগত নয়; এটি প্রশাসনের জন্য নতুন বিশৃঙ্খলার জন্ম দিতে পারে।”

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়েরের নেতৃত্বে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযানে দোকান ভাঙচুর ও দোকানিদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।নাসির উদ্দিন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে নীতিগত ও কাঠামোবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে, যাতে ভবিষ্যতে এমন বিশৃঙ্খলা না হয়।

এছাড়া ডাকসুর কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে কিছু ছাত্রনেতার তীব্র বাকবিতণ্ডা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাসির। তিনি লেখেন, “ডাকসুর কিছু নেতা ট্রেজারারের সঙ্গে যে আক্রমণাত্মক ও অশোভন আচরণ করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়।”

তার মতে, “বিগত প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার দায় বর্তমান ট্রেজারারের ওপর চাপিয়ে অযাচিত চাপ সৃষ্টি করা অছাত্রসুলভ আচরণ।” তিনি মনে করেন, দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক পন্থা অনুসরণ করা উচিত, কারণ “ডাকসুর পদবী ব্যবহার করে শিক্ষক বা প্রশাসনের ওপর মবতন্ত্র প্রয়োগ করা অনাকাঙ্ক্ষিত।”

উল্লেখ্য, শনিবার অনুষ্ঠিত উচ্ছেদ অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিনিধি এবং পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন। অভিযানে দোকান ভাঙচুরের পাশাপাশি কয়েকজন দোকানি মারধরের অভিযোগ করেছেন। এর পর থেকেই বিষয়টি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

IPCS News : Dhaka :