রবিবার ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

মদনে ট্রলার ঘাটের নাম করে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায়

আপডেটঃ ৯:২৩ অপরাহ্ণ | জুন ১১, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনা:- নেত্রকোনার মদনে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ট্রলার ঘাটের নাম করে এক শ্রেণির অসাধু মুনাফা লোভী সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ করে চা বিক্রয় করেন আরশ মিয়া (৫০) নামে এক ব্যাক্তি আবার অবৈধ ভাবে ট্রলার মালিকদের নিকট থেকে ২শ থেকে ৩শ টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বণির্ নদীতে ধানকুনিয়া নামক স্থানে এমন ঘটনা ঘটে।জানা যায়, মদন-তাড়াইল সড়কে বর্ণিনদী থেকে টোল আদায় করে আলমশ্রী গ্রামের আরশ মিয়া দুলাল মিয়া নামে ব্যক্তি।নদী পাড়াপারের জন্য  সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজস্ব একটি ঘাট তৈরি করে ট্রলার মালিকদের নিকট থেকে ২শ থেকে ৩শ টাকা আদায় করছে।তার ঘাটে ট্রলার না রাখলে যাত্রী উঠতে দিচ্ছে না।এমনকি তাদের সাথে অসদাচরণ করছে বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ট্রলার মালিক পক্ষও ১০ টাকা ভাড়ার ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ টাকা যাত্রী অনুযায়ী আদায় করছে।এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে ঘাট এলাকায় গেলে চা বিক্রেতা চাঁদা আদায়কারী আরশ মিয়া ও দুলাল মিয়া (৬০) চানঁ মিয়া (৭০) কে পাওয়া যায়।তাদের কাছে জানতে চাইলে দুলাল মিয়া নামে একজন বলেন আমি আমার জায়গায় ট্রলার ঘাট দিয়ে চাঁদা আদায় করছি।

বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা চেয়ারম্যান কে বলতে যাব কেন।তবে তাড়াইল থেকে আসা যাত্রী আব্দুল করিম,আমেনা আক্তার জানান, এই নদী পাড় হতে যেখানে ১০ টাকাই যতেষ্ট ছিল কিন্তু ঘাটে ভাড়া বেশি নেয়ার কারণে নাকি আমাদের ভাড়াও বাড়িয়ে দিয়েছে।আমাদের দিতে হচ্ছে ২০ টাকা।এতে করে আমরা যাত্রীরা পড়েছি বিপাকে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ট্রলার মালিক জানান, আরশ মিয়াকে প্রতি ট্রলালের জন্য ২শ থেকে ৩শ টাকা দিতে হয়।না দিলে আমাদের যাত্রী দেয় না।এমনকি আমাদের সাথে অসধাচরণ করে।পাশে ট্রলার রাখার জন্য সরকারি জায়াগাও রয়েছে।কিন্তু আরশ মিয়া এসব জায়াগা ট্রলার রাখতে দিচ্ছে না।বিষয়টি আমরা চেয়ারম্যান সাহেবকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দায়র সফি জানান,এ ঘাটে চাঁদা আদায় করছে শোনে আমি ইউপি মেম্বার বাবুলকে দিয়ে আরশ মিয়াকে খবর দিয়ে ছিলাম।কিন্তু আমার সাথে সে দেখাও করেনি।বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, আমি খোঁজ নিয়ে এখনি এসব বন্ধ করতেছি।  

IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোনা।