বৃহস্পতিবার ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

ভ্যাট না বাড়িয়ে বিকল্প রাজস্ব ব্যবস্থাপনার তাগিদ বিএনপির

আপডেটঃ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

বিএনপি সরকারের অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, পরিচালন ব্যয় কমানো এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোকে দেওয়া ঋণের বাজেট কমিয়ে জনগণের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির চাপ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।শনিবার সকালে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের প্রধান দায়িত্ব খরচ কমানো। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার যদি উন্নয়ন বাজেট পুনর্বিবেচনা করে অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক প্রকল্প বাদ দেয়, তাহলে প্রায় ২০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব, যা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করবে।”পরিচালন ব্যয়ের ক্ষেত্রেও স্থানীয় সরকারের বাজেট এবং ভর্তুকি খাত কমিয়ে ১০ শতাংশ সাশ্রয় করা সম্ভব বলে জানান তিনি। এতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব হবে।তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৫০ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা ঋণ বাজেট করা হয়েছে, যা সাময়িকভাবে কমিয়ে ব্যয় সাশ্রয় করা সম্ভব।মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকার খরচ কমানোর মাধ্যমে বাজেটের ঘাটতি এক লাখ কোটি টাকা পর্যন্ত কমাতে পারে। এ পদক্ষেপ জনগণের ওপর ভ্যাট ও করের চাপ কমাবে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।”

তিনি ভ্যাট বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় পৌঁছেছে। এ অবস্থায় ভ্যাটের হার বাড়ানো জনজীবনে ভোগান্তি আরও বাড়াবে।”অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ওষুধ, এলপিজি, মোবাইল সেবা, রেস্তোরাঁর খাবার এবং পোশাকের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি হলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।”

পরোক্ষ কর না বাড়িয়ে প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “পরোক্ষ কর সব শ্রেণির মানুষের ওপর সমানভাবে চাপ সৃষ্টি করে, যা নিম্নবিত্তের ওপর বাড়তি বোঝা ফেলে।”বিএনপি সরকারের প্রতি নীতিমালা প্রণয়নে জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “অপরিকল্পিত ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের পরিবর্তে খরচ কমিয়ে এবং বাজেটের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বর্তমান আর্থিক সংকটের সমাধান সম্ভব।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের উচিত দায়িত্বশীল মুদ্রানীতি ও বাজেট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।”

IPCS News : Dhaka :