শনিবার ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

ভিআইপি আসনে ফের খালেদা, মাঠে জামায়াতও প্রস্তুত

আপডেটঃ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | নভেম্বর ০৮, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়ায় রাজনৈতিক মাঠে সরব আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপি প্রার্থী হিসেবে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম ঘোষণার পর থেকেই জেলার রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ দেখা দিয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় বগুড়া বরাবরই বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। তবে এবার সেই ঘাঁটিতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলছে জামায়াতে ইসলামী।বগুড়া-৭ আসনটি গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। দলীয়ভাবে এটি বিএনপির ‘ভিআইপি আসন’ হিসেবে পরিচিত, কারণ এখান থেকেই একাধিক বার প্রার্থী হয়েছেন খালেদা জিয়া। যদিও তিনি কখনো এ আসনের সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব নেননি, প্রতিবারই আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন উপনির্বাচনের জন্য। তবু স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই আসনকে জিয়া পরিবারের উত্তরাধিকার বলেই মনে করেন।

স্বাধীনতার পর থেকে মূল নির্বাচন ও উপনির্বাচন মিলিয়ে এ আসনে ভোট হয়েছে ১৫ বার। এর মধ্যে বিএনপি ১০ বার বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি পেয়েছে দুটি করে আসন, আর একবার জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে জামায়াত প্রার্থী করেছে দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য গোলাম রব্বানীকে।বগুড়ার রাজনৈতিক মহল বলছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রভাব এখানে খুবই সীমিত। ফলে আসল লড়াই হবে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যে। জামায়াত গত কয়েক বছর ধরে মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় থেকে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে। দলটির নেতারা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে ভোটারদের আস্থায় তারা অগ্রগতি আনতে পারবেন।ইতিহাস বলছে, খালেদা জিয়া এই আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন। তবে প্রতিবারই তিনি আসনটি ছেড়ে দিয়ে দলের ঘনিষ্ঠ নেতাদের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু তিনবার এবং মওদুদ আহমদ একবার এই আসন থেকে নির্বাচিত হন খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেওয়া আসনে।

এবারও যদি খালেদা জিয়া প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ান, তবে তার উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু ও গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন প্রার্থী হতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তারা মনে করেন, আসনটি মূলত জিয়া পরিবারের, তাই দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।অন্যদিকে জামায়াতের জেলা নেতা অধ্যাপক আ.স.ম. আবদুল মালেক জানিয়েছেন, “গোলাম রব্বানীই আমাদের একক প্রার্থী। জনগণের সাড়া ভালো, আমরা বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।”

এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের অধ্যাপক সবুজ ইসলাম সফিক, বাসদের শহিদুল ইসলাম এবং গণতন্ত্র মঞ্চের মনিরুজ্জামান বাচ্চুও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ থাকবে ধানের শীষ আর দাড়িপাল্লার মধ্যে।

IPCS News : Dhaka :