বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে লাগবে তিন যোগ্যতা
আপডেটঃ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | জুন ১৬, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে।সম্ভাব্য সময় হিসেবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধকে লক্ষ্য ধরে দলটি কাজ শুরু করেছে।এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে একাধিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে, আরও কিছু জরিপ চলমান রয়েছে।
লন্ডনে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে এক বৈঠকে নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে আলোচনা হওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি কার্যক্রম শুরু হয়।এখন দলের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করা।৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপির হয়ে বিভিন্ন আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অনেকেই এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন।তবে এবার ২০১৮ সালের মতো একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।প্রতিটি আসনে একক প্রার্থীই মনোনীত করা হবে।মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় তিনটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে বিএনপি।প্রথমত, যিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দ্বিতীয়ত, যিনি ব্যক্তিগতভাবে সৎ এবং সমাজে একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত।তৃতীয়ত, যিনি নিজ নির্বাচনি এলাকায় জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য।এই তিন মানদণ্ডকে ভিত্তি ধরেই জরিপ চালানো হচ্ছে।
দলীয় সূত্র বলছে, এবার তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে।তবে নবীন ও প্রবীণের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে।এছাড়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার থেকেও একাধিক প্রার্থী নির্বাচন করতে পারেন।দলীয় মিত্রদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেওয়ার কথাও বিবেচনায় রয়েছে।যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে অথবা যারা মাঠপর্যায়ে অজনপ্রিয়, তারা মনোনয়ন পাবেন না।এ বিষয়ে তারেক রহমানের কাছে আগেই নেতাদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্যসংগ্রহ রয়েছে।দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান, যাদের ত্যাগ আছে, তারা অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবেন এবং জরিপের মাধ্যমে যোগ্যদের খুঁজে বের করা হবে।
মনোনয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে নির্বাচন কমিশনের তফশিল ঘোষণার পর।তখন মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা নেওয়া হবে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে এবং চূড়ান্তভাবে মনোনীত করবেন বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড, যার দায়িত্ব পালন করবে জাতীয় স্থায়ী কমিটি।দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জানান, বিএনপি সবসময়ই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকে।আন্দোলন ও সংগঠন পরিচালনার মূল উদ্দেশ্যই নির্বাচন।তাই আলাদা করে প্রস্তুতির কিছু নেই, বিএনপি সবসময় নির্বাচনের জন্য তৈরি।
IPCS News : Dhaka :