বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ আরও শক্তিশালী, ভারতের উপকূলে আঘাতের আশঙ্কা
আপডেটঃ ১১:২২ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ২৮, ২০২৫
নিউজ ডেস্কঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।সোমবার রাত ৯টার দিকে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, ঝড়টি বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে এবং ঘণ্টায় প্রায় ১৭ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আইএমডির সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ ‘মন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং সন্ধ্যার দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম ও কাকিনাড়ার মাঝামাঝি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রীয় বায়ুচাপের প্রভাবে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার, দমকা হাওয়ার বেগ সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও ওড়িশা রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্ধ্রের বেশ কয়েকটি জেলায় মঙ্গলবার থেকে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, একই সঙ্গে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল ও বিমান চলাচলে বিঘ্নের আশঙ্কা জানানো হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্যের আনাকাপল্লি জেলায় বুধবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, প্রশাসন সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে। একইভাবে, ওড়িশার গজপতি ও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং আটটি জেলায় উদ্ধারকর্মী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
তেলঙ্গানা ও কর্নাটকের উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতেও মঙ্গলবার ও বুধবার ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারতের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলীয় রেল বিভাগ ইতোমধ্যে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করেছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টা অন্ধ্র ও তামিলনাড়ুর উপকূল অঞ্চলে তাণ্ডব চালাতে পারে। ফলে সমুদ্রপথে চলাচল বন্ধ রাখা এবং উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের নিরাপদ স্থানে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘মন্থা’ যদি স্থলভাগে প্রবেশের পরও শক্তি ধরে রাখে, তবে এর প্রভাব বাংলাদেশসহ বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অঞ্চলেও বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার আকারে দেখা দিতে পারে।
IPCS News : Dhaka :

