সোমবার ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

আপডেটঃ ১২:১৯ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ২০, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

দিনাজপুর:- দিনাজপুরের কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লোকমান হাকিমের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, দুর্নীতি, এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে তিনি এর আগে কারাভোগও করেছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লোকমান হাকিম ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।তবে, দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মাথায়, ২০১৪ সালের ১২ মার্চ অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়।অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি বিএড কোর্সের জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছিলেন।এর আগে তিনি দিনাজপুরের ইকবাল হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।সেখানেও দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বরখাস্ত হন।আরও জানা যায়, ২০১১ সালে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়া ক্যাম্পাস খুলে জাল সনদ বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে গ্রেপ্তার করে।কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয়ের ৪০ লাখ টাকা নিজের বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণে ব্যয় করেছেন।শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে ফরম পূরণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।২০২২-২৩ অর্থবছরে পিবিজিএসআই স্কিমের আওতায় ৫ লাখ টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করার এবং বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র কেনার জন্য বরাদ্দ ৫২ হাজার টাকার কোনো হিসাব না দেওয়ার অভিযোগও উঠে এসেছে।

একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে।সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মো. ওয়াজেদুল ইসলামের কাছ থেকে ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার পরও তাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলা এবং ছাত্রীদের হিজাব পরায় বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

লোকমান হাকিম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, “আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।একটি চক্র আমাকে হেয় করার জন্য এই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।” এলাকাবাসী এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।তারা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে।সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বক্তব্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।