পদ্মার পানিতেই চাষাবাদ হবে বরেন্দ্রাঞ্চলের কৃষিজমি
আপডেটঃ ১২:৪০ অপরাহ্ণ | মে ১৯, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- খরা প্রবন রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের স্বপ্ন পূরন হতে যাচ্ছে।পদ্মার পানি দিয়ে চাষাবাদ করতে পারবেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।রাজশাহীর গোদাগারীর পদ্মা নদী থেকে সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দূর থেকে পানি উত্তোলন করে প্রায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এতে উপকৃত হবেন অন্তত ৩০ হাজারের অধিক কৃষক।চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারির থেকে ‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রচারণ (ইআইডিএল) প্রকল্পের ইনটেক পাম্প স্টেশন থেকে, গোদাগাড়ী পৌরসভা এলাকার জোত গোসাইদাস সারাংপুর থেকে বুস্টার-১ ও বুস্টার-২পাম্প স্টেশন হয়ে, ভুসনা খালে পানি সরবরাহের জন্য ১ হাজার মিমি ডায়ার এইচডিপিই পাইপলাইন নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।দুটি স্টেশন ক্রস করে খাড়িতে যাবে এই পানি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ’ নামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।প্রকল্প পরিচালক শিবির আহমেদ জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে।সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ২০২৭ সালের শুরুতে প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে কৃষকরা এর সুফল পেতে শুরু করবেন।
মাহিম নামের এক কৃষক বলেন, আমরা এই অঞ্চলের কৃষকেরা এখনও অনেক সময় কৃষি কাজের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করি।এ ছাড়া পাম্প চালাতে বিদ্যুৎ বা ডিজেলের খরচ অনেক বেশি।যদি পদ্মার পানি পাই, তা হলে কম খরচে ফসল ফলানো যাবে।প্রকল্প পরিচালক শিবির আহমেদ বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমবে।
পাশাপাশি নতুন করে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিকে চাষের আওতায় আনা যাবে।এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিকটন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে।এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু সেচ সুবিধাই নয়, কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কারণ সেচ সুবিধা বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা বছরে একাধিকবার চাষ করতে পারবেন।ফলে তাদের আয় বাড়বে।এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসবে।এ ছাড়া রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করছেন এই অঞ্চলের মানুষ।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।