সোমবার ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

নেত্রকোনা পূর্বধলায় ডিভোর্সী স্ত্রীর হত্যা মামলায় সাবেক স্বামীর মৃত্যুদন্ড

আপডেটঃ ২:৪০ অপরাহ্ণ | মে ০৫, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনা:- নেত্রকোনার পূর্বধলায় ডিভোর্সী স্ত্রী কমলা খাতুনের হত্যা মামলায় নিহতের সাবেক স্বামী নিজাম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।রোববার (৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আবুল হাসেম জানান, ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর বিকেল ৪ ঘঠিকার দিকে গাজীপুর টঙ্গী মিরা বাজার এলাকা থেকে কমলা খাতুন বের হয়ে নিখোঁজ হন।পরদিন ১৯ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার খলিসাউড় এলাকার বালুচড়া বাজার সংলগ্ন রাস্তার পাশে কলাবাগান থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।ময়নাতদন্তে দেখা যায়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে।

পরে নিহতের ভাই নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।তদন্তে উঠে আসে, পারিবারিক বিরোধ ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাবেক স্বামী নিজাম উদ্দিন তাকে হত্যা করেন।মামলায় ৩০২/২০১ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেন।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বড়বাট্টা গ্রামের কমলা খাতুনের সাথে পূর্বধলার আগিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের বিবাহ হয়।বিবাহের পর দাম্পত্য জীবনে কলহের জেরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।বিচ্ছেদের পর গাজীপুর জেলার টংগী মিরা বাজার এলাকায় তার  ছোট বোন চাম্পা খাতুনের বাসায় থাকতেন।সেখানে থেকে গার্মেন্টেসে চাকুরী করতেন কমলা।

চাকুরিরত অবস্থায় তার সাবেক স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হত।একদিন ভাতিজার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হন কমলা।নিখোঁজের পরের দিন ২০২২ সনের ১৯ নভেম্বর বিকেলে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড়া ইউনিয়নের পাবই দাসপাড়া বালুচড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে পাকা সড়কের কাছ থেকে কমলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

খবর পেয়ে তার বড় ভাই নিজাম উদ্দিন (৩৫) বাদী হয়ে ওইদিনই অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।পরে পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত করে নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।তদন্ত শেষে পুলিশ পরের বছর ২০২৩ সনের ৩১ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করে রোববার বিকেলে নেত্রকোনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবুল হাসেম মামলাটি পরিচালনা করেন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জনাব শামসুদ্দিন আহমেদ।

IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোনা।