রবিবার ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

দুর্গাপুরে মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের ১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও সুপারভাইজার

আপডেটঃ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | মার্চ ০৮, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনা:- নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের ১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার সিহাব উদ্দিন (৩৩)।থানায় এমন অভিযোগ করেছে দুর্গাপুর পৌর শহরের কথা টেলিকমের স্বত্বাধিকারী ও ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের ডিস্ট্রিবিউটরমো. মোক্তার হোসেন শামীম।বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গত সোমবার প্রতিষ্ঠানের মালিক মোক্তার হোসেন শামীম থানায় এ অভিযোগ করেন।অভিযুক্ত সুপারভাইজার সিহাব উদ্দিন দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফারাংপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিহাব ওই প্রতিষ্ঠানের একজন বিশ্বস্ত কর্মচারী হওয়ায় রকেট ব্যবসার সকল দিক পরিচালনা করতেন।ব্যবসার মূল সিম কার্ডসহ মোবাইল সেট তার কাছেই ছিল।ওই সিমকার্ডে দুই ধাপে দেওয়া মোট ১৭ লাখ টাকা লোড করা অবস্থায় ছিল।গত সোমবার দুপুরে ব্যবসার মূল সিমকার্ডসহ মোবাইল সেট নিয়ে পাশের ঝানজাইল বাজারে যাওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যান শিহাব উদ্দিন।ওইদিন সন্ধ্যায় শিহাবকে কল করা হলে পূর্বধলা এলাকায় আছেন বলে জানান।কিছুক্ষণ পরেই দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বলে জানান শিহাব।পরে রাতে শিহাব উদ্দিনের চাচা আজগর আলী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীকে মোবাইল ফোনে জানায়, শিহাব উদ্দিন এখনো বাড়ি ফিরেনি।সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান থেকে শিহাব উদ্দিনের ব্যক্তিগত নম্বরসহ রকেট ব্যাংকিং সেবার মোবাইল নম্বরে কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে খোঁজ নিলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন শামীম জানান, সিহাবের কাছে থাকা সকল ফোন নম্বর বন্ধ পেয়ে রকেট অফিসের ১৬২১৬ হট লাইন নম্বরে ফোন করে জানতে পারি, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিমকার্ডে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা ছাড়া আর কোনো টাকা নাই।ওইদিনসহ বিভিন্ন সময়ে ওই সিম থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা উঠিয়েছে।কোম্পানির মাধ্যমে জেনেছি দীর্ঘদিন ধরেই জালিয়াতির মাধ্যমে টাকাগুলো অন্যত্র সরিয়েছে, যা আমার নজরে আসেনি।কারণ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব তার কাছেই থাকত।এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ  বাচ্চু মিয়া বলেন, টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার  ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোনা।