দিনাজপুরে কৃষকদের ক্ষতি করে গর্ভেশ্বরী নদী খননের কাজ চলছে
আপডেটঃ ৯:৩৪ অপরাহ্ণ | মে ২৬, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- দিনাজপুর সদর উপজেলার ২নং সুন্দরবন ইউনিয়নে গর্ভেশ্বরী নদী-খননের অনিয়মের কারণে স্থানীয় কৃষকদের অবগত এবং জমি অধিগ্রহন না করে ব্যাপক ক্ষতি ও জমি নদী খনন কাজে চলে যাওয়ায় সরকারের কাছে ক্ষতি পূরনের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থরা।জানা গেছেন জেলা সদর উপজেলাধীন ২নং সুন্দরবন ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী খননের এর নামে কৃষকদের ফসল ক্ষতি করা এবং দলিলি ও সম্পত্তি হতে কৃষকদের বেদখল করায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ২১-০৪-২০২২ ইং জেলা প্রশাসক এর নিকট ক্ষতিগ্রস্থরা জমি অধিগ্রহন করার অনুরোধ জানান।স্থানীয় কৃষকরা লিখিত আবেদনে জানান, গর্ভেশ্বরী নদীর উভয় পারে তাদের কৃষি আবাদী জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গত ২৯-১২-২০২১ইং হতে সাড়ে ১৮ কিলো মিটার নদী খননের কাজ শুরু করেন যা শেষ হবে ৩১-০৫-২০২৩ তারিখে।
কৃষকরা জানান, নদী খননের পূর্বে তাদের অবগত না করেই পারি উন্নয়ন বোর্ড খেয়ালখুশি মতো গর্ভেশ্বরী নদী খনন কাজ শুরু করেন।উক্ত নদী খননের কারণে জমিতে থাকা ফসল ও কৃষকদের রেকর্ডভুক্ত ও জমির দলিলি সম্পত্তি বেদখল করেন।এছাড়াও অবশিষ্ট যা জমি রয়েছিল সেখানে মাটি ও বালু স্তুপ করার কারণে চাষাবাদ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
মালিকানা জমিতে চাষাবাদ থাকা অবস্থায় ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে নদী খনন করলে উক্ত ফসলগুলি মাটিতে চাপা পড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়।তারা আরোও জানায়, গর্ভেশ্বরী নদীর রেকর্ড নদীর দাগ নং, নদীর নকশা বা ম্যাপ অনুয়ায়ী পানি উন্নয়ণ বোর্ড সার্বে সঠিকভাবে না করে তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে নদী খননের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
কৃষকদের দলিলি সম্পত্তি কোনো অধিগ্রহন না করে এবং ক্ষতির পরিমান বুঝিয়ে না দিয়ে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।বর্তমানে জমি হারা কৃষকরা সার্বিক ক্ষতি সাধন হওয়ার ফলে বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে বিপাকে পড়েছেন।এ কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা চরম হতাশা ও তাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গেলে স্থানীয় কৃষকরা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন, নুর মোহাম্মদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, তোফাজ্জল হোসেন, রবিউল, নাজু, ডাঃ সোবহান, আব্দুর জব্বার, আদিবাসী বিক্রম টুডু ও বাবু লাল সরেন ক্ষতিপূরন চেয়ে অভিযোগ করেন।
পানি উন্নয়ণ বোর্ড তারা নিয়ম বহিভূত ভাবে যেখানে প্রকল্পের কাজ কোথাও ১৫ মিটার (৪৫ ফুট) এবং ২০ মিটার (৬০ ফুট) মধ্যে খনন করার কথা থাকলেও তারা ইতিমধ্যে ২২৫ ফুট জমি বেদখল করে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন যা অমানবিক।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, জমি অধিগ্রহন করার কোনো সুযোগ নেই।এ কাজ কারিগরি পরামর্শক কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ডিও লেটার এর মাধ্যমে এই নদী খনন এর কাজ আমরা করছি।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সলাম, দিনাজপুর।