দিনাজপুরের কাহারোলে সার ডিলারশিপ দুর্নীতি: জাল কাগজে পাঁচ লাইসেন্স
আপডেটঃ ২:০২ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ০৪, ২০২৫
 নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) সার ডিলারশিপ নিয়োগে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও নিয়ম বহির্ভ‚তভাবে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে একাধিক ডিলারশিপ নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন কাহারোল উপজেলার মোঃ ফারুক খান ও তার পরিবারের সদস্যরা।অনুসন্ধানে জানা যায়, ফারুক খান এবং তার স্বজনরা মিলে কাহারোল উপজেলার চারটি এবং পার্শ্ববর্তী একটি উপজেলাসহ মোট পাঁচটি সারের ডিলারশিপ নিয়ন্ত্রণ করছেন।অভিযোগের তীব্রতা বাড়িয়েছে ডিলারশিপ পেতে জমা দেওয়া জাল কাগজপত্র ও ভুয়া পরিচয়ের ব্যবহার।
অভিযোগ অনুযায়ী, মোঃ ফারুক খান নিম্নেলিখিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সার ডিলারশিপের নিয়ন্ত্রণ করছেন: সোনালী ট্রেডার্স (প্রো: ফারুক খান): এটি ফারুক খানের নিজ নামে রয়েছে।মোল্লা এন্টারপ্রাইজ (প্রো: বাহার উদ্দিন) অভিযোগ উঠেছে, এই নামের প্রোপ্রাইটর বাহার উদ্দিনের কাহারোল উপজেলার ভোটার আইডি কার্ড বা তার নামে অন্য কোনো কাগজপত্র নেই, যা ডিলারশিপের নিয়মের সম্প‚র্ণ পরিপন্থী।
তৌহিদ এন্টারপ্রাইজ (প্রো: বাকার খান): এটিও ফারুক খানের পরিবারের সদস্যের নামে পরিচালিত।খান এন্টারপ্রাইজ (প্রো: বাকার খান): একই ব্যক্তির নামে দ্বিতীয় ডিলারশিপ।শতরূপা এন্টারপ্রাইজ (প্রোপাইটর লায়লা বেগম): পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলার এই ডিলারশিপটিও ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা একই পরিবারের নিয়ন্ত্রণে।
ফারুক খান এর মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর দিয়ে সার উত্তোলন হয় কিভাবে এই নিয়ে চলছে এলাকায় চলছে গুঞ্জন।তবে গত ৫ অক্টোবর ২০২৫ ওমরাহ্ হজ্জ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে ফারুক খানের মৃত্যুর পরে এই সার দোকানের পরিচালনার রয়েছেন ম্যানেজার মোঃ নাঈম।নশীপুর বিএডিসি গোডাউন থেকে সার উত্তোলন করা হয়।
সোনালী ট্রেডাসসহ ৫টি সার দোকানের ম্যেনেজার মোঃ নাঈম এর সাথে যোগাযোগ করা হয়। একই পরিবারের ৫টি ডিলারশিপ দোকান কিভাবে সম্ভব জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার নাম্বার আপনি কোথায় পেয়েছেন? কে আপনাকে দিয়েছে, একই পরিবারের নয় মালিক আলাদা-আলাদা। দায়সারা কথা বলে তিনি এড়িয়ে জান।
বিসিআইসি’র সার ডিলার নিয়োগ নীতিমালায় সাধারণত একই পরিবারের বা একই ব্যক্তির একাধিক ডিলারশিপ পাওয়ার সুযোগ সীমিত থাকে।এছাড়া, ডিলারশিপ পেতে সংশ্লিষ্ট এলাকার বৈধ কাগজপত্র ও পরিচয়পত্রের শর্ত থাকে।কিন্তু এখানে পাঁচটি ডিলারশিপে একই পরিবারের সদস্যদের নাম ও ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে সরকারি নিয়মের মারাত্মক লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এর ফলে প্রকৃত কৃষকদের সারপ্রাপ্তি ও বাজারে ন্যায্যম‚ল্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।স্থানীয় কৃষকরা এই ডিলারশিপ কেলেঙ্কারির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।তাদের প্রশ্ন, কোটি কোটি টাকার সরকারি সার বিক্রির ডিলারশিপে কীভাবে একই পরিবার অবৈধভাবে এতগুলো লাইসেন্স পেল? কৃষকরা জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।

