টানা সাতদিন পর ফিরলেও মাত্র ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে চলছে বড় পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
আপডেটঃ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৭, ২০২৫
নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- দীর্ঘ সাতদিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে অবশেষে আংশিকভাবে উৎপাদনে ফিরলো দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।গত রবিবার দুপুর দুইটা থেকে কেন্দ্রটির ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়েছে।এর মাধ্যমে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অন্তত আংশিক আলো দেখলো।গত ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।এর পূর্বে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩য় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ।২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সাল থেকেই কার্যত অচল।
ফলে, ১৯ অক্টোবর ১ নম্বর ইউনিট বন্ধ হতেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়।কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক নিশ্চিত করেছেন, বর্তমানে চালু হওয়া ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
এদিকে, কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মোট উৎপাদন ক্ষমতা কাগজে-কলমে ৫২৫ মেগাওয়াট (১ ও ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট করে ২৫০ মেগাওয়াট এবং ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট)।কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কেন্দ্রটি কখনোই তার পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি।১২৫ মেগাওয়াটের স্থলে ৬০-৭০ মেগাওয়াট এবং ২৭৫ মেগাওয়াটের স্থলে ১৬০ থেকে ১৭৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
অর্থাৎ, দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী এই কেন্দ্রটি বহু বছর ধরেই তার ঘোষিত সক্ষমতার চেয়ে অনেক কম উৎপাদন করে ‘রোগগ্রস্ত’ অবস্থায় ধুঁকছে।প্রধান প্রকৌশলী জানান, অন্যান্য ইউনিটগুলো চালুর জন্য প্রস্ততকারক চীনা কোম্পানির সাথে আলোচনা চলছে।বর্তমানে বন্ধ থাকা ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হলেও এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়ে গেছে।
তিনি জানান, এই ইউনিটের সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে, তবে এটি চালু করতে তিন মাস সময় লেগে যেতে পারে।বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড়পুকুরিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এমন একটি কেন্দ্রে দিনের পর দিন যান্ত্রিক ত্রুটি এবং সক্ষমতার চেয়ে অনেক কম উৎপাদন হওয়ায় এর পরিচালনার মান ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কবে নাগাদ এই কেন্দ্রটি তার পূর্ণ সক্ষমতায় ফিরতে পারবে, সেই অপেক্ষাতেই এখন দিনাজপুরবাসী।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম, দিনাজপুর।

