রবিবার ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

জয়পুরহাটে ট্রাক-ট্রাক্টর-অটোরিকশার সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত ৫

আপডেটঃ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | জুন ১৬, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

জয়পুরহাট শহরে ট্রাক, ট্রাক্টর ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে ইদ্রিস আলী (৪২) নামের এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বগুড়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।রোববার (১৫ জুন) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে জয়পুরহাট পৌর এলাকার খঞ্জনপুর মিশন মোড়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ইদ্রিস আলী জয়পুরহাট পৌর শহরের আদর্শ পাড়া মহল্লার একরাম আলীর ছেলে।তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন।আহত ব্যক্তিরা হলেন- শামীম হোসেন (৪৭), তার স্ত্রী মিনু খাতুন (৪১), মাসুদ রানা (৪৯), নাজনীন খাতুন (২১) এবং তার দুই বছরের মেয়ে নিহা খাতুন।তাদের বাড়ি সদর উপজেলার ভাদসা জলিল পাড়া ও চককামাল গোপালপুর গ্রামে।দুর্ঘটনার সময় সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতের নির্জন সময়ে খঞ্জনপুর মিশন মোড়ে একটি ট্রাক জয়পুরহাট শহরের দিকে আসছিল। একই সময় যাত্রীবোঝাই একটি অটোরিকশা শহর থেকে সদর উপজেলার ভাদসা বাজারের দিকে যাচ্ছিল। সেখানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পাশ থেকে একটি ট্রাক্টর এসে ধাক্কা দিলে তিনটি যানবাহনের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাচালক ইদ্রিস আলীর মৃত্যু হয় এবং যাত্রীরা গুরুতর আহত হন।

দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এবং স্থানীয় লোকজন আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আহত শামীম হোসেন ও তার স্ত্রী মিনু খাতুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর ট্রাক ও ট্রাক্টরের চালকরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গেছে।দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো জব্দ করা হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের মতে, খঞ্জনপুর মিশন মোড়টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।এখানে আগে থেকেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।নিয়মিত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।নিহত ইদ্রিস আলীর মৃত্যুর খবরে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।এলাকাবাসী এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

IPCS News : Dhaka :