জামিন পেয়েও বাড়ী ফেরা হলোনা, লাশ হলেন হাসপাতালে
আপডেটঃ ৫:০৭ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী: নাটোরের এক যুবদল নেতাকে নাশকতার মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হাসপাতালে ভর্তির পর তিনি জামিনও পেয়েছিলেন।তবে তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি।হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।মারা যাওয়া এই ব্যক্তির নাম এ কে আজাদ শহীদ ওরফে সোহেল রানা (৪০)।নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন তিনি।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।পরে তার মরদেহ বাড়ি নিয়ে গেছেন স্বজনেরা।সোহেল রানা হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের ছোট হাতিদহ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।নাটোর জেলা কারাগারের জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার জানান, নাশকতার মামলায় পুলিশ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে।আদালত গত ২১ নভেম্বর সোহেলকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠান।
পরে ২৯ নভেম্বর তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন।এরপর তাকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।এখানকার চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।পরে নাটোর কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।এরপর সেদিনই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে ৩০ নভেম্বর আদালত সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করেন।১ ডিসেম্বর কারাগারে জামিনের কাগজ পৌঁছালে তাকে মুক্তি দেখানো হয়।হাসপাতাল থেকেও কারারক্ষীর পাহারা তুলে নেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) এই আসামি হাসপাতালে মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোস্তফা শেখ জানান, হাসপাতালে আনার প্রথম দিন থেকে সোহেল রানা আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি মারা যান।পরে তার মরদেহ বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।