রবিবার ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

ক্ষমতাচ্যুত নেত্রীর ভাষণের পর বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ

আপডেটঃ ১২:১২ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

ক্ষমতাচ্যুতির ছয় মাস পর প্রথমবার জনসম্মুখে ভাষণ দিয়েছেন ভারতে নির্বাসিত আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা।গত বছরের ৫ আগস্ট দেশত্যাগের পর থেকেই তিনি প্রতিবেশী দেশ থেকে নিজের দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।সর্বশেষ তার লাইভ ভাষণকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয় দেশের ছাত্র-জনতাসহ তরুণ প্রজন্ম।ফলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙার উদ্যোগ নেয় তারা। এই ভবনকে তারা ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

বুধবার নির্ধারিত সময় রাত ৯টায় শেখ হাসিনার ভাষণের আগেই তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনে জড়ো হতে থাকে তার শাসনামলে নিপীড়নের শিকার হওয়া ছাত্র-জনতা।রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং বাড়িটি ভাঙতে শুরু করে। একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ভবনটিতে।পরে বুলডোজার মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধু এই বাড়িটিই নয়, শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ও ম্যুরালও ভাঙা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এই ঘটনাকে গুরুত্বসহকারে প্রচার করেছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশের বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক বাড়ি ধ্বংস করেছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই বাড়িটি থেকেই শেখ হাসিনার বাবা পাকিস্তান ভাঙার ঘোষণা দিয়েছিলেন।তবে পরবর্তীতে কর্তৃত্ববাদের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে এই বাড়িতে হামলা হয়।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি ধ্বংস করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে নির্বাসিত থেকে দলের সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে এই হামলার সূত্রপাত হয়।ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের মাধ্যমে ১৫ বছরের শাসন শেষে তিনি দেশত্যাগ করেন।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে তার সমর্থকদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেন, যার ফলে এই বিক্ষোভ ও হামলার সূত্রপাত হয়।ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুধু শেখ হাসিনার বাড়িই নয়, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়ি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যালয়েও হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

তুরস্কের গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এবং আনাদোলু এজেন্সি তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ভারতে অবস্থান থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা ছাত্ররা দাবি করেছে, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

সৌদি আরবের গণমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্ত একটি বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।এছাড়া ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে প্রচার করা হয়েছে।

IPCS News : Dhaka :