একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন: ব্যয় ১,৯৭৪ কোটি টাকা
আপডেটঃ ৪:১৬ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ
একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন: ব্যয় ১,৯৭৪ কোটি টাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) রেলের দুই প্রকল্পসহ মোট ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ৩৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে যোগান দেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
রেলের প্রকল্পের গুরুত্ব
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ৩৪৬টি লেভেল ক্রসিং গেইটে গেইটকিপার নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় মান উন্নয়ন করা হবে। এর মাধ্যমে ট্রেনের ভ্রমণ সময় কমিয়ে সেকশনাল ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হবে। একইসঙ্গে, পশ্চিমাঞ্চলের ৩২৬টি লেভেল ক্রসিং গেইটে গেইটকিপার নিয়োগ এবং সেগুলোর মান উন্নয়ন করা হবে। এ উদ্যোগগুলো রেললাইন এবং সড়কপথে দুর্ঘটনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গুরুত্বপূর্ণ বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প
চিলমারি বন্দর প্রকল্পের বিষয়ে ড. ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, এই প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে অগ্রগতিহীন ছিল। সংশোধিত প্রস্তাবের মাধ্যমে চিলমারি এলাকায় নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। বন্দর উন্নয়নে রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারি এবং নয়াহাট এলাকায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
অন্যান্য প্রকল্পের তালিকা
একনেক বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো:
- আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্প।
- কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প।
- অর্থনৈতিকভাবে জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ কর্তন, পুনঃবাগান সৃজন এবং রাবার প্রক্রিয়াকরণ আধুনিকায়ন প্রকল্প।
- ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রের জন্য ৬০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেস প্লান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন প্রকল্প।
- রশিদপুর-১১ নং কূপ খনন প্রকল্প।
- ২ডি সাইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ৭ ও ৯ প্রকল্প।
- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬০টি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন প্রকল্প।
উন্নয়ন কার্যক্রমে আশাবাদ
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা। বিশেষত, রেল এবং বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
IPCS News : Dhaka :